মরশুমের শুরুতেই দুঃসংবাদ ইস্টবেঙ্গলের সমর্থকদের জন্য। সোমবার ছিল ট্রান্সফার উইন্ডো বন্ধের শেষ দিন। এ দিনই আচমকা দল ছাড়লেন গ্রিক ফরোয়ার্ড দিমিত্রিয়স দিয়ামান্তাকোস। এ দিন একটি বিবৃতিতে খবরটি প্রকাশ্যে আনা হয়েছে লাল-হলুদ শিবিরের তরফে। জানানো হয়েছে যে, দুই পক্ষের পারস্পরিক সম্মতিতেই সম্পর্ক ছিন্ন করার এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
মোহনবাগান সুপার জায়ান্টের বিরুদ্ধে গত ডুরান্ড ডার্বিতেও জ্বলে উঠেছিলেন লাল-হলুদ সমর্থকদের প্রিয় ‘দিমি’। অল্পের জন্য হ্যাটট্রিক থেকে বঞ্চিত হন তিনি। এ দিন এক বিবৃতিতে তাঁর চলে যাওয়ার খবর পরিবেশন করে লেসলি ক্লডিয়াস সরণির ক্লাবটি লিখেছে, “দিমিত্রিয়স দিয়ামান্তাকোস এবং ইস্টবেঙ্গল এফসি পারস্পরিক সম্মতিতেই আলাদা হওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। ক্লাবের সঙ্গে এতদিন থাকার জন্য আমরা দিমিকে ধন্যবাদ জানাই।”
নতুন মরশুমের শুরুতে একাধিক বিদেশি ফুটবলারকে দলে শামিল করেছে ইস্টবেঙ্গল। এরই মাঝে দিমিকে ছেড়ে দিল দল। গত বছরের জুন মাসে কেরালা ব্লাস্টার্স এসসি থেকে দুই বছরের চুক্তিতে ইস্টবেঙ্গলে যোগ দিয়েছিলেন তিনি। মেয়াদ শেষ হওয়ার আগেই আচমকা শিবির ছাড়লেন দিমি। মশাল ব্রিগেডের হয়ে সমস্ত প্রতিযোগিতা মিলিয়ে মোট ৩২ টি ম্যাচ খেলেন দিয়ামান্তাকোস।
ইস্টবেঙ্গলের হয়ে মোট এক ডজন গোল করেছেন দিমি। সেই সঙ্গে রয়েছে ৪ টি অ্যাসিস্ট। আন্তর্জাতিক মঞ্চে দিয়ামান্তাকোস গ্রিসের সিনিয়র জাতীয় দলেরও প্রতিনিধিত্ব করেছেন। তিনি ছিলেন ২০১২ সালের উয়েফা ইউরোপীয় অনূর্ধ্ব-১৯ চ্যাম্পিয়নশিপে রানার্স-আপ হওয়া গ্রিক দলের অন্যতম সদস্য। কিন্তু ট্রান্সফার উইন্ডো বন্ধের দিন হঠাৎ কেন ছেড়ে দেওয়া হল দিমিকে? প্রশ্ন উঠছে। সংশ্লিষ্ট মহলের একাংশের দাবি, কোচ অস্কার ব্রুঁজোর সঙ্গে মানিয়ে চলতে পারছিলেন না এই গ্রিক তারকা। সম্ভবত সে কারণেই সরতে হল তাঁকে।