আসন্ন বিহার বিধানসভা নির্বাচন ঘিরে জনসুরজ নেতা প্রশান্ত কিশোর ইতিমধ্যেই জোরকদমে প্রচারে নেমেছেন। এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, এবার তাদের নতুন রাজনৈতিক দলের জয়ের সম্ভাবনা বেশি দুটি কারণে, মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমারের শারীরিক ও মানসিক অবস্থার অবনতি এবং জনসুরজ আন্দোলনের শক্তিশালী জনভিত্তিক উত্থান।
প্রশান্ত কিশোর বলেন, “আমাদের জন্য নির্বাচন মানে শুধু নির্বাচনের সময়ের লড়াই নয়। আমরা গত তিন বছর ধরে নিরলস কাজ করেছি। সাড়ে তিন বছর ধরে গ্রামে গ্রামে ঘুরেছি। দুবছর পর এক কোটি মানুষকে একত্র করে একটি সংগঠন গড়েছি। এরপর কাঠামো দাঁড় করিয়ে তিন মাস আগে থেকেই প্রচার শুরু করেছি।”
তিনি দাবি করেন, বিহারের মানুষ এবার বড় পরিবর্তন চান। “দল, জাতি বা ধর্ম কাউকে তোয়াক্কা না করে সবাই পরিবর্তনের পক্ষে। এই ঢেউয়ে অনেক প্রভাবশালী নেতা ভেসে যাবেন। জনগণের স্বশাসনের এক নতুন ব্যবস্থা তৈরি হচ্ছে,” মন্তব্য করেন তিনি।
কিছু সমীক্ষায় তাঁকে মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার সম্ভাবনা ২০ শতাংশ পর্যন্ত দেখানো হলেও আসন সংখ্যা এক অঙ্কে সীমিত বলা হয়েছে। এই বিষয়ে প্রশান্ত কিশোর বলেন, “সবাই নিজের কাজ করছে। যখন জনসুরজ শুরু করেছিলাম, অনেকেই বলেছিলেন বিহারে কিছু হবে না। এখন অন্তত সবাই স্বীকার করছে আমরা ‘এক্স ফ্যাক্টর’।”
তিনি আরও ব্যাখ্যা করেন, “রাজনীতির সমীকরণে এখনও আরজেডি প্রধান লালু যাদব ও জেডিইউ নেতা নীতীশ কুমার গুরুত্বপূর্ণ হলেও বাস্তবে পরিস্থিতি বদলেছে। লালুজি বয়স ও অসুস্থতার কারণে প্রচারে নেই, নীতীশজির স্বাস্থ্যও সবার জানা। কংগ্রেস লালুর সঙ্গী আর বিজেপি নীতীশের ভরসা। সব মিলিয়ে এনডিএ-র ক্ষতি হবে। কিন্তু জনসুরজ নতুন সমীকরণ তৈরি করছে।”
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির পর বিজেপির নেতৃত্ব কে দেবেন, এমন প্রশ্নে কিশোর বলেন, “মানুষ নয়, আদর্শগত প্রবণতাকে বুঝতে হবে। একসময় অটলবিহারী বাজপেয়ীকে উদার মনে হত, এল কে আদবানিকে কঠোর। এখন আদবানির তুলনায় মোদিজিকে কঠোর মনে হয়। ভবিষ্যতে মোদিজিও যোগী আদিত্যনাথের তুলনায় উদার বলে বিবেচিত হতে পারেন। বিজেপির নেতৃত্বের ধারা স্পষ্ট, ক্রমশ আরও কঠোর পথে।” তিনি যোগ করেন, এর মোকাবিলায় বিপরীত আদর্শভিত্তিক দীর্ঘ লড়াই প্রয়োজন।
