বাসে অসুস্থ হয়ে পড়া বৃদ্ধাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তির ব্যবস্থা করল পুলিশ। রীতিমতো গ্রিন করিডর তৈরি করে তাঁকে হাসপাতালে ভর্তির ব্যবস্থা করা হয়। কলকাতা পুলিশের এই তৎপরতায় অত্যন্ত খুশি ওই বৃদ্ধার পরিবারের লোকজন। আপাতত ৭০ বছর বয়সি ওই বৃদ্ধার শারীরিক পরিস্থিতি স্থিতিশীল। সোমবার ১ সেপ্টেম্বর পুলিশ ডে। সেদিনই মানবিকতা নজির গড়ল কলকাতা পুলিশ।
কী হয়েছিল সোমবার?
কলকাতা পুলিশের তরফে জানানো হয়েছে, বেলা প্রায় ১১টা ৪০ মিনিটে এম.জি. রোডে টহলদারি চলাকালীন হাওড়া ব্রিজ ট্রাফিক গার্ডের ওসি শ্রী সৌভিক চক্রবর্তী জানতে পারেন যে ১৬৮ নম্বর রুটের (নাগেরবাজার-হাওড়া) একটি বাসে যাত্রী ডিপিকা আচার্য (বয়স প্রায় ৭০ বছর) অসুস্থ হয়ে পড়েছেন। ওই মহিলা আধা-অচেতন অবস্থায় ছিলেন, শরীরের একদিক অবশ হয়ে যায় এবং তিনি কথা বলতে পারছিলেন না।
পরিস্থিতির গুরুত্ব বুঝে ওসি সৌভিক চক্রবর্তী দ্রুত তাঁকে বাস থেকে নামিয়ে স্থানীয় ট্যাক্সির সাহায্যে কলকাতা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানোর ব্যবস্থা করেন। সঙ্গী হিসেবে পাঠানো হয় সার্জেন্ট শান্তু পাল এবং এক মহিলা হোমগার্ডকে, যাতে জরুরি অবস্থায় পর্যাপ্ত সহায়তা দেওয়া যায়।
রোগীকে দ্রুত হাসপাতালে পৌঁছে দেওয়ার জন্য স্ট্র্যান্ড রোড থেকে মেডিকেল কলেজ পর্যন্ত এম.জি. রোডে ‘গ্রিন করিডর’ তৈরি করা হয়। একই সঙ্গে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে আগাম জানানো হয়, যাতে তাঁরা প্রয়োজনীয় চিকিৎসার প্রস্তুতি নিতে পারেন। রোগীর আত্মীয়দেরও দ্রুত হাসপাতালে ডাকার ব্যবস্থা করা হয়।
হাসপাতালে পৌঁছনোর পর চিকিৎসকের সঙ্গে সমন্বয় করে মহিলাকে সিপিআর-৩ ওয়ার্ডে ভর্তি করা হয়। বর্তমানে তিনি স্থিতিশীল এবং পর্যবেক্ষণে রয়েছেন।
ডাক্তার ও রোগীর আত্মীয়রা ট্রাফিক পুলিশের এই দ্রুত পদক্ষেপের প্রশংসা করেছেন। তাঁদের মতে, ওসি সৌভিক চক্রবর্তী ও তাঁর দলের তৎপরতার ফলেই এই সংকটময় মুহূর্তে রোগীর প্রাণ রক্ষা সম্ভব হয়েছে।
এই ঘটনা কলকাতা ট্রাফিক পুলিশের দায়বদ্ধতা ও জনসেবায় নিষ্ঠার উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত স্থাপন করল।