সন্ত্রাসবাদের সঙ্গে কোনওভাবেই আপস করবে না ভারত, এ দিল্লির অনেকদিনের ঘোষণা। তবুও বারবার সন্ত্রাসবাদীদের হিংসার শিকার হতে হয়েছে নিরীহ ভারতবাসীকে। আর এই সব অধিকাংশ সন্ত্রাসেই মদত দেওয়ার প্রমাণ পাওয়া গেছে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে। সদ্য পহেলগাম সন্ত্রাস হানা তাঁরই বড় উদাহরণ। এবার চিনে এসসিও সম্মেলনে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফের উপস্থিতিতেই সরাসরি ইসলামাবাদকে নিশানা করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। পহেলগাম হামলায় ২৬ জন নিরীহ মানুষের হত্যাকাণ্ডের প্রসঙ্গ টেনে তিনি বলেন, “কিছু দেশ প্রকাশ্যে সন্ত্রাসবাদকে সমর্থন করছে।”
তিয়ানজিনে সাংহাই কোঅপারেশন অর্গানাইজেশন সম্মেলনে মোদি বলেন, “ভারত চার দশক ধরে সন্ত্রাসবাদের শিকার। বহু মা তাঁদের সন্তান হারিয়েছেন। সম্প্রতি পহেলগামে আমরা সন্ত্রাসের ভয়ঙ্কর রূপ দেখেছি। আমাদের বন্ধু দেশগুলি যে এই কঠিন সময়ে পাশে থেকেছে, তার জন্য কৃতজ্ঞ। কিন্তু প্রশ্ন থেকে যায়, কিছু দেশ প্রকাশ্যে সন্ত্রাসবাদকে সমর্থন করলে তা কি মানবতার পক্ষে গ্রহণযোগ্য?”
সম্মেলনের মঞ্চে দাঁড়িয়ে তিনি বলেন, এসসিও-র ভিত্তি তিনটি স্তম্ভের ওপর দাঁড়িয়ে আছে এবং তা হল নিরাপত্তা, সংযোগ এবং সুযোগ। এর মধ্যে নিরাপত্তাকে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বলে উল্লেখ করেন তিনি। বলেন, যে কোনওভাবে সন্ত্রাসের বিরোধিতা করতেই হবে। এটি মানবতার প্রতি আমাদের দায়িত্ব। তবে সম্মেলনের যৌথ ঘোষণাপত্রে, চিনসহ ইউরেশিয়ার বিভিন্ন শক্তিধর দেশ ভারতের অবস্থানকে কতটা সমর্থন করে, তা-ই দেখার বিষয়।