অযোগ্য শিক্ষকদের তালিকায় শুধু যে তৃণমূল নেতা, মন্ত্রী, বিধায়কদের আত্মীয় পরিজনের নাম রয়েছে তা নয়। নাম রয়েছে বেশ কয়েকজন বিজেপি নেতার আত্মীয়-স্বজনেরও। অযোগ্য শিক্ষকদের তালিকায় দেখা গেল বিজেপির বীরভূম সাংঠনিক জেলার কোষাধ্যক্ষের স্ত্রীর নাম। বিজেপি নেতা সুরজিৎ সরকারের স্ত্রী লক্ষ্মী বিশ্বাসের নাম রয়েছে অযোগ্যদের তালিকায়। তবে বিজেপি এই ঘটনাকে রাজনৈতিক চক্রান্ত বলছে।
পদ্ম শিবিরের দাবি, দলের গায়ে কালি ছেটাতে সংশ্লিষ্ট স্কুলের প্রধান শিক্ষক লক্ষ্মীর নাম পাঠিয়েছেন। এই তালিকাকে চ্যালেঞ্জ করে তাঁরা আদালতে যাবেন।
বীরভূমের রামপুরহাট ১ নম্বর ব্লকের কুসুম্বা হাইস্কুলের শিক্ষিকা ছিলেন লক্ষ্মী বিশ্বাস। তাঁর শ্বশুর অমিয় সরকার বিশ্ব হিন্দু পরিষদের রাজ্য স্তরের দায়িত্বে রয়েছেন। স্বামী সুরজিৎ বীরভূম সংগঠনিক জেলার কোষাধ্যক্ষ। সুরজিতের দাবি, তাঁর স্ত্রী নিজের যোগ্যতায় চাকরি পেয়েছিলেন। কিন্তু যেহেতু তাঁরা বিজেপির সঙ্গে জড়িত তাই ইচ্ছাকৃতভাবেই তাঁর স্ত্রীর নাম অযোগ্যদের তালিকায় ঢুকিয়েছে তৃণমূল।
বিজেপির বীরভূম জেলা সভাপতি ধ্রুব সাহা বলেছেন, লক্ষী বিশ্বাস যোগ্য প্রার্থী হিসেবেই চাকরি পেয়েছিলেন। কিন্তু তৃণমূল নিজেদের পিঠ বাঁচাতে অযোগ্যদের তালিকায় লক্ষ্মীর নাম ঢুকিয়ে দিয়েছে। তিনি চ্যালেঞ্জ করেন, ক্ষমতা থাকলে এসএসসি ওএমআর শিট প্রকাশ করে দেখাক লক্ষ্মী কত নম্বর পেয়েছিলেন। ধ্রুব সাহার আরও অভিযোগ, লক্ষ্মী যে স্কুলের শিক্ষিকা ছিলেন সেই স্কুলের প্রধান শিক্ষক তৃণমূলের শিক্ষা সেলের নেতা। বিভিন্ন বিষয় নিয়ে তাই লক্ষ্মীর সঙ্গে প্রধান শিক্ষকের নিয়মিত ঝামেলা হত। সে কারণেই রীতিমতো চক্রান্ত করে লক্ষ্মী বিশ্বাসের নাম অযোগ্যদের তালিকায় তুলে দেওয়া হয়েছে। তবে বিজেপি এতে ভয় পায় না লক্ষ্মী আইনের পথে হেঁটে প্রমাণ করবেন তিনি যোগ্য ছিলেন।
অন্যদিকে কুসুম্বা হাই স্কুলের প্রধান শিক্ষক সন্দীপ মণ্ডল বলেছেন, লক্ষ্মী অন্য স্কুল থেকে মিউচুয়াল ট্রান্সফার নিয়ে কুসুম্বায় এসেছিলেন। তিনি কারও নাম শিক্ষা দফতরে পাঠাননি। তাই কে কী বলছেন তা নিয়ে তিনি কোনও জবাব দেবেন না।
অন্যদিকে জেলা সিপিএম নেতা সঞ্জীব বর্মনের কটাক্ষ, তাঁরা আগেই বলেছেন বিজেপি ও তৃণমূল একে অপরের পরিপূরক। তলে তলে ওই দুই দলের পুরোপুরি যোগাযোগ আছে। এখন মানুষকে বিভ্রান্ত করে ওরা ভোট বৈতরণী পার হতে চাইছে।