সুনীতা ঘোষ
সুদানের পশ্চিম দারফুর অঞ্চলে এক ভয়াবহ ভূমিধসে মাটির সঙ্গে মিশে গেল সম্পূর্ণ একটি গ্রাম। এই ঘটনায় প্রায় এক হাজার মানুষের মৃত্যু হয়েছে বলে জানিয়েছে ওই এলাকার নিয়ন্ত্রণে থাকা বিদ্রোহী গোষ্ঠী সুদান লিবারেশন মুভমেন্ট আর্মি। ঘটনাটি ঘটেছে রবিবার অর্থাৎ ৩১ আগস্ট সেন্ট্রাল দারফুরের মারাহ পাহাড়ি এলাকার তারাসিন গ্রামে। কয়েকদিনের টানা ভারী বৃষ্টির পর এই ভূমিধস নামে। বিদ্রোহী সংগঠনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, “গ্রামের প্রায় সব মানুষই মারা গেছেন, আনুমানিক সংখ্যা এক হাজারের বেশি। মাত্র একজন বেঁচে গেছেন।”
ভূমিধসের মতো বিপর্যয়ের মুখোমুখি হয়ে এই গ্রামটি পুরোপুরি সমতল হয়ে গেছে। মৃতদেহ উদ্ধারে জাতিসঙ্ঘ ও আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলির সাহায্যের আবেদন জানানো হয়েছে। সোশাল মিডিয়ায় প্রকাশিত বেশ কিছু ভিডিয়োতে দেখা গেছে, পাহাড়ের মাঝে বিশাল এলাকা মাটির নীচে চাপা পড়ে সমান হয়ে গেছে।
এই সময় সুদানজুড়ে গৃহযুদ্ধ চলছে। সেনাবাহিনী ও আধাসামরিক বাহিনী র্যাপিড সাপোর্ট ফোর্সেসের মধ্যে দাঙ্গা অব্যাহত। যুদ্ধের কারণে দারফুর অঞ্চলে জাতিসঙ্ঘ ও ত্রাণ সংস্থাগুলির যাতায়াত প্রায় বন্ধ। মারাহ পাহাড় প্রায় ১৬০ কিলোমিটার জুড়ে বিস্তৃত একটি আগ্নেয়গিরির পাহাড়ি এলাকা। এটি ইউনেস্কোর বিশ্ব ঐতিহ্যের অন্তর্ভুক্ত। এখানকার আবহাওয়া ঠান্ডা এবং বৃষ্টিপাতও বেশি হয়। রাজধানী খার্তুম থেকে এর দূরত্ব ৯০০ কিলোমিটারেরও বেশি।
প্রতিবছর বর্ষাকালে অর্থাৎ জুলাই থেকে অক্টোবরে বন্যা ও ভূমিধসে শত শত মানুষের মৃত্যু হয়। তবে এবারের ঘটনা সুদানের সাম্প্রতিক ইতিহাসে সবচেয়ে ভয়াবহ প্রাকৃতিক বিপর্যয়গুলির মধ্যে একটি বলে জানাচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা।