আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টি থেকে অবসর নিলেন অজি জোরে বোলার মিচেল স্টার্ক। মঙ্গলবার সকালে এই সিদ্ধান্ত জানিয়েছেন তিনি। জানিয়েছেন, টেস্ট এবং ওয়ানডে ফরম্যাটে আরও বেশি করে মনোনিবেশ করতেই আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের ক্ষুদ্রতম ফরম্যাট থেকে সরে দাঁড়াচ্ছেন তিনি। উল্লেখ্য, স্টার্ক ছিলেন গত ২০২১ সালের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপজয়ী অস্ট্রেলিয়া দলের অন্যতম সদস্য। দেশের হয়ে সার্বিকভাবে ৬৫ টি টি-টোয়েন্টি ম্যাচে অংশ নিয়ে ৭৯ উইকেট নিয়েছেন তিনি।
স্টার্ককে শেষ বার দেখা গিয়েছিল গত ২০২৪ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে। যেখানে ভারতের বিরুদ্ধে ম্যাচে রোহিত শর্মা তাঁর একটি ওভারে চারটি ছক্কা মেরেছিলেন। উল্লেখযোগ্যভাবে এই ম্যাচই স্টার্কের আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টি কেরিয়ারের শেষ ম্যাচ হয়ে রইল। নিজের অবসরের কথা ঘোষণা করে স্টার্ক এ দিন বলেন, “আমার কাছে টেস্ট ক্রিকেট সব সময়ই প্রাধান্য পেয়েছে। তবে অস্ট্রেলিয়ার হয়ে খেলা প্রতিটি টি-টোয়েন্টি ম্যাচের প্রতিটি মিনিট আমি উপভোগ করেছি। বিশেষ করে ২০২১ বিশ্বকাপ। প্রতিযোগিতাটি কেবলমাত্র আমরা জিতেছিলাম বলেই যে উপভোগ্য ছিল তা নয়। আমাদের ওই দলটা ছিল অবিশ্বাস্য। আর খুব মজা করেছি।”
এর পরই ৩৫ বছর বয়সী অস্ট্রেলিয়ার বাঁহাতি পেসার ব্যখ্যা দিয়েছেন, কেন তিনি আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টি ক্রিকেট থেকে সরে দাঁড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। তাঁর কথায়, “এর পর ভারতের মাটিতে টেস্ট সিরিজ রয়েছে। অ্যাসেজ রয়েছে। এর পর ২০২৭ সালের বিশ্বকাপ। এই প্রতিযোগিতাগুলির দিকে তাকিয়ে আমি মনে করি, নিজেকে ফিট রাখার এবং নিজের সেরাটা ধরে রাখার জন্য এটাই সেরা উপায়।” পাশাপাশি এও বলেন, “আমার অবসর আগামী টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের আগে একটি নতুন বোলিং গ্রুপকে তৈরি হওয়ার জন্য সময়ও দেবে।”
অর্থাৎ টেস্ট-ওয়ানডেতে মনোনিবেশ করার পাশাপাশি স্টার্কের লক্ষ্য যে দেশকে আগামী প্রজন্মের বোলারদেরকে তৈরি করার সুযোগ করে দেওয়া, সে কথাই তুলে ধরেছেন তিনি। এ দিকে স্টার্কের অবসর প্রসঙ্গে অস্ট্রেলিয়ার নির্বাচক প্রধান জর্জ বেইলি বলেন, “অস্ট্রেলিয়ার হয়ে নিজের টি-টোয়েন্টি কেরিয়ার নিয়ে মিচের অবশ্যই গর্ববোধ করা উচিত। তিনি ২০২১ বিশ্বকাপজয়ী দলের একজন অবিচ্ছেদ্য সদস্য ছিলেন। আর তাঁর বাকি দুটি ফরম্যাটের মতো এখানেও শুরুতেই উইকেট নেওয়ার দুর্দান্ত দক্ষতা ছিল।”