চিনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং, রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন ও উত্তর কোরিয়ার নেতা কিম জং উন – এই তিনজনের নামের পাশেই ‘একনায়ক’ শব্দটা অনায়াসে বসিয়ে দেয় বিশ্ব। এবার ‘একনায়ক’ ট্রাম্পের দাদাগিরি রুখতে এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রধান চ্যালেঞ্জার হিসেবে পরিচিত এই তিন রাষ্ট্রপ্রধানকে দেখা যেতে চলেছে একই মঞ্চে।
দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সমাপ্তির ৮০ বছর পূর্তি এবং জাপানের আগ্রাসনের বিরুদ্ধে চিনের লড়াইকে স্মরণ করতে বুধবার আয়োজন করা হয়েছে মিলিটারি প্যারেডের।এখনও ত্রিপাক্ষিক কোনও বৈঠকের খবর না মিললেও একে তিন দেশের সম্ভাব্য ঐক্য প্রদর্শনের মঞ্চ হিসেবেই দেখা হচ্ছে। কিম ও পুতিন-সহ মোট ২৬ জন বিশ্বনেতার বুধবারের এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকার কথা।
২০১৯ সালের পরে চিন গিয়েছেন উত্তর কোরিয়ার শাসক। ২০১১ সালে ক্ষমতা গ্রহণের পরে এনিয়ে মোট চার বার চিন সফর করছেন তিনি। দক্ষিণ কোরিয়ার সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে, সোমবার রাতেই কিম জং উনের ট্রেন চিনের দানদং সীমান্ত শহরে পৌঁছায় এবং মঙ্গলবার বেজিংয়ে পৌঁছানোর কথা রয়েছে। সোমবার রাজধানী পিয়ংইয়্ং থেকে নিজের বিশেষ ট্রেনে রওনা দেন কিম জং উন। তাঁর সঙ্গে রয়েছেন উত্তর কোরিয়ার বিদেশমন্ত্রী চোয়ে সন হুই সহ শীর্ষ কর্তারা। চিন সফরের আগেই কিম তাঁর দেশের একটি ক্ষেপণাস্ত্র গবেষণাগার পরিদর্শন করেছেন।
এসসিও সম্মেলনে যোগ দিয়ে এই মুহূর্তে পুতিন চিনেই রয়েছেন। রুশ সংবাদ সংস্থার তথ্য অনুযায়ী ক্রেমলিনের উপদেষ্টা ইউরি উষাকভ জানিয়েছেন যে চিনে পুতিন ও কিমের মধ্যে বৈঠকের বিষয়টি চিন্তাভাবনার স্তরে রয়েছে। সদ্য গোটা বিশ্বের শাসনব্যবস্থা আরও ন্যায্য ও সঠিক করার যে আহ্বান জিনপিং জানিয়েছেন তাকে সমর্থনই জানিয়েছে উত্তর কোরিয়া।
এদিকে ট্রাম্প ট্যারিফের মোকাবিলা করতে গিয়ে ক্রমেই গোটা বিশ্বজুড়ে একটা মেরুকরণ স্পষ্ট চেহারা নিতে শুরু করছে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।