পাকিস্তান ক্রিকেট দলের ফিল্ডিং উচ্চমানের ছিল না কখনওই। তবে জঘন্য ফিল্ডিংয়ের কারণে বার বার সমালোচনার মুখে পড়তে হয় পাকিস্তানকে। সোশ্যাল মিডিয়ায় বয়ে যায় ট্রোলের বন্যা। তবে সম্প্রতি যে তথ্য সামনে এসেছে তা বাবর আজমদের লজ্জাটা বাড়িয়ে দিচ্ছে আরও কয়েক গুণ। এক ক্রিকেটীয় ওয়েবসাইটের রিপোর্ট অনুযায়ী, গত দেড় বছরে খারাপ ফিল্ডিংয়ের জেরে দু-দুটি লজ্জার রেকর্ড গড়েছেন পাক ক্রিকেটাররা।
উক্ত রিপোর্টে যে পরিসংখ্যান তুলে ধরা হয়েছে, তাতে দেখা গিয়েছে গত ২০২৪ থেকে এখনও পর্যন্ত মোট ৪৮টি ক্যাচ ফেলেছে পাকিস্তান। সেই সঙ্গে ৯৮টি রান আউট মিস করেছে এবং ৮৯ বার মিস-ফিল্ডিং করেছে। আর তারই জেরে ক্রিকেট খেলুড়ে প্রথম ৪১ টি দেশের মধ্যে দুটি লজ্জার রেকর্ড গড়ে ফেলেছে তারা। এই সময়ে সবথেকে বেশিবার মিস ফিল্ডিংয়ের রেকর্ড রয়েছে ওয়েস্ট ইন্ডিজের। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে মোট ৯০ বার মিস ফিল্ডিং করেছে তারা। এর পরই দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে পাকিস্তান দল।
এ ছাড়া এই সময়ের মধ্যে সবথেকে বেশি ম্যাচ খেলে পাকিস্তানের ক্যাচিং সাফল্যের হার ৮১.৪ শতাংশ। যা আইসিসির ১২ টি পূর্ণ সদস্যের মধ্যে যুগ্মভাবে অষ্টম। পাকিস্তান ছাড়াও ক্যাচিং সাফল্যের হারে অষ্টম স্থানে রয়েছে আয়ারল্যান্ড। এই সব মিলিয়েই উক্ত প্রতিবেদনে ৪১ টি দলের মধ্যে ‘সবথেকে খারাপ ফিল্ডিং সাইড’ হিসেবে ইঙ্গিত করা হয়েছে পাকিস্তান ক্রিকেট দলকে। নিঃসন্দেহে যা বড় লজ্জা ইমরান-আক্রমদের উত্তরসূরিদের জন্য।
যদিও এর পরেও নিজেদের খারাপ ফিল্ডিং নিয়ে কোনও অভিযোগ শুনতে নারাজ পেসার হারিস রউফ। মূলত খারাপ আউট ফিল্ডিংয়ের কারণেই আফগানিস্তানের বিরুদ্ধে চলতি ত্রিদেশীয় সিরিজের ম্যাচে মঙ্গলবার ১৮ রানে হারতে হয়েছে রউফদের। কিন্তু এর পর জনৈক পাকিস্তানি সাংবাদিক এ বিষয়ে প্রশ্ন করলে বিরক্তির সুরে রউফ বলেন, “আমার মনে হয় আপনি হয়ত ম্যাচটা ঠিকমতো দেখেননি। আমাদের ফিল্ডিংয়ে আমরা এমন কোনও ভুল করিনি। যদি আপনি আবার সঠিকভাবে পর্যালোচনা করেন তা হলে দেখতে পাবেন যে ম্যাচটি আসলেই জমজমাট ছিল।”
