বাবা তথা তেলাঙ্গানার প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী কে. চন্দ্রশেখর রাওয়ের (কেসিআর) নেতৃত্বাধীন ভারত রাষ্ট্রীয় সমিতি (বিআরএস) থেকে সাসপেন্ড হওয়ার কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই দল ছাড়ার ঘোষণা করলেন কে. কবিতা। এক সাংবাদিক বৈঠকে তিনি বলেন, “আমার পদের কোনও লোভ নেই। আমি বিআরএস থেকে ইস্তফা দিচ্ছি এবং বিধায়ক হিসাবে আমার পদত্যাগপত্র স্পিকারের কাছে জমা দিচ্ছি।”
ইস্তফা ঘোষণার সময় কবিতা সরাসরি কেসিআর-এর প্রতি বলেন, “আপনাকে দেবতার মতো মানি, কিন্তু আপনার চারপাশে কিছু ‘শয়তান’ ঘিরে আছে। ওরা ব্যক্তিগত আর্থিক ও রাজনৈতিক স্বার্থে বিআরএস পরিবারকে ভেঙে দিয়েছে।”
তিনি দাবি করেন, দলের ভেতরের একাংশের ষড়যন্ত্রেই তাঁকে বহিষ্কার করা হয়েছে।
গত বছর দিল্লির তিহাড়
জেল থেকে জামিনে ছাড়া পাওয়ার পর তিনি পিছিয়ে না থেকে দলের হয়ে সক্রিয়ভাবে কাজ করেছেন বলে জানান কবিতা। “আমি সংরক্ষণ আন্দোলনে যোগ দিয়েছি, কংগ্রেস সরকারের বিরুদ্ধে নানা কর্মসূচি করেছি, বিআরএস-এর পতাকা বুকে বেঁধে। এগুলো কীভাবে ‘দলবিরোধী কার্যকলাপ’ হতে পারে, বুঝতে পারছি না,” মন্তব্য করেন তিনি।
কবিতা ফের অভিযোগ তোলেন যে, তাঁর খুড়তুতো ভাই ও সিনিয়র নেতা টি হরিশ রাও কংগ্রেস মুখ্যমন্ত্রী রেবন্ত রেড্ডির সঙ্গে মিলে তাঁর পরিবারকে নিশানা করছেন। “রেবন্ত রেড্ডি শুধু আমার পরিবার- কেসিআর ও কেটিআরের বিরুদ্ধে মামলা করেছেন। কিন্তু হরিশ রাও-এর বিরুদ্ধে কিছুই বলেননি। কালেশ্বরম প্রকল্প যখন শুরু হয়, তখন হরিশ রাও সেচমন্ত্রী ছিলেন। তখন কেন রেবন্ত রেড্ডি চুপ ছিলেন?” প্রশ্ন তোলেন কবিতা।
তিনি অভিযোগ করেন, “হরিশ রাও আর সন্তোষ রাও আমাদের পরিবার ও দলকে ধ্বংসের পরিকল্পনা করেছে।”
উল্লেখ্য, বিআরএস কবিতাকে বহিষ্কার করেছে দলবিরোধী কার্যকলাপের অভিযোগে। কবিতা অভিযোগ করেছিলেন, হরিশ রাও ও প্রাক্তন রাজ্যসভার সাংসদ জে সন্তোষ কুমার কংগ্রেসের সঙ্গে হাত মিলিয়েছেন কেসিআরকে দুর্নীতির অভিযোগে কালিমালিপ্ত করতে। কেসিআরের দ্বিতীয় মেয়াদে হরিশ রাওকে আর সেচমন্ত্রী না রাখার কারণ নিয়েও ইঙ্গিত দেন তিনি।
সাম্প্রতিক সময়ে কংগ্রেস সরকার কালেশ্বরম প্রকল্পে অনিয়মের তদন্ত সিবিআইয়ের হাতে দেওয়ার পর থেকে বিআরএসের অভ্যন্তরীণ দ্বন্দ্ব আরও তীব্র হয়েছে।