এসএসসির অযোগ্য শিক্ষকদের তালিকা প্রকাশিত হয়েছে। আর সেই তালিকায় শাসক দল তৃণমূলের একাধিক নেতা-নেত্রী, তাদের আত্মীয়-স্বজনদের নামের একেবারে ছড়াছড়ি। সাগর ব্লক জুড়ে দাগি শিক্ষকদের নামের যে তালিকা পাওয়া যাচ্ছে তাতে রয়েছে শাসকদলের একাধিক নেতা-নেত্রীর নাম। এসএসসির দাগি তালিকায় সাগরের একাধিক শিক্ষক-শিক্ষিকার নাম।
বিরোধীদের অভিযোগ, সাগর ব্লকের ৩০ থেকে ৪০ জন বাসিন্দার নাম আছে এই তালিকায়। এই তালিকায় থাকা অনেককেই আবার নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় সিবিআই জিজ্ঞাসাবাদ করেছে।
দাগি তালিকায় আছেন তৃণমূলের প্রাক্তন বুথ সভাপতি বিভাস মণ্ডল। তিনি সাগরের একটি স্কুলের জীবন বিজ্ঞানের শিক্ষক ছিলেন। তালিকায় আছেন স্থানীয় নরহরিপুরের প্রাক্তন তৃণমূল পঞ্চায়েত সদস্য গদাধর বেরার পুত্রবধূ পম্পা ভুঁইয়া। পম্পা নামখানার একটি স্কুলের বাংলার শিক্ষিকা ছিলেন। তালিকায় নাম আছে তৃণমূল পরিচালিত সাগরের কমলপুর কৃষি সমবায় সমিতির সভাপতি সত্যেন জানার ছেলে বিশ্বনাথ জানার। পুত্রবধূ সুষমা দাসের নামও রয়েছে তালিকায়।
সূত্রের খবর, এই জানা পরিবারের বড় ছেলে সোমনাথ জানা ও মেয়ে মিঠু জানা গ্রুপ-সি পদে চাকরি হারিয়েছেন। এছাড়াও একাধিক নাম এই তালিকায় উঠে এসেছে যা নিয়ে এলাকায় চর্চা তুঙ্গে। বিরোধী দল বিজেপি এই ঘটনায় শাসক তৃণমূলের যোগ নিয়ে সরব হয়েছে।
বিজেপির মথুরাপুর সাংগঠনিক জেলা কমিটির সদস্য অরুণাভ দাস বলেন, তৃণমূল মানেই প্রতিষ্ঠিত চোর। এই সকল দাগি শিক্ষকেরা প্রত্যেকেই তৃণমূলের এমএলএ, মন্ত্রী থেকে শুরু করে পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতিদের ঘনিষ্ঠ। সাগরে দাগি তালিকায় প্রায় ৩০ থেকে ৪০ জন শিক্ষক শিক্ষিকার নাম রয়েছে। এদের অনেককেই সিবিআই নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় তলব করেছিল। এই সকল শিক্ষকের দেওয়ালে পিঠ ঠেকে গেছে। যাদের নাম দাগি তালিকায় রয়েছে তাদের বলব, সময় এসেছে মুখ খোলার। কোন কোন নেতারা কত টাকা নিয়েছে তা প্রকাশ্যে আনুক এই সকল শিক্ষকেরা। গোটা ডিপার্টমেন্টটাকে তৃণমূল শ্মশানে পরিণত করেছে। তোপ বিজেপি নেতৃত্বের।
অন্যদিকে দাগি তালিকায় থাকা শিক্ষক-শিক্ষিকাদের পরিবারের লোকজন গোটা ঘটনায় পর্ষদকে দায়ী করেছেন। দাগি শিক্ষকদের পরিবারের সদস্যরা বলেন, আমরা কাউকে টাকা দিইনি। তবুও কেন আমাদের পরিবারের সদস্যদের নাম এই তালিকায় এসেছে আমরা জানি না। আমরা আদালতের দারস্থ হয়েছি। সমগ্র বিষয়টি বিচারাধীন রয়েছে।
