বিশ্বের কোথায় কী হচ্ছে সবই লক্ষ্য রাখে আমেরিকা। কোথাও একটু বেচাল হলেই সরব হয় ওয়াশিংটন। ট্রাম্পের চাপানো শুল্কনীতির জেরে এই মুহূর্তে যে ভাবে গোটা বিশ্বে ক্ষমতার সমীকরণের বদল ঘটছে তাও অজানা নয় হোয়াইট হাউসের। চিনের এসসিও সম্মেলন নিয়ে সেভাবে কিছু না বললেও এবার বেজিং প্যারেডে শি’র পাশে পুতিন ও কিমের থাকা নিয়ে আর চুপ থাকতে পারলেন না মার্কিন প্রেসিডেন্ট।
চিনের রাজধানী বেজিংয়ে দশকের সবচেয়ে বড় সামরিক কুচকাওয়াজে যোগ দিয়েছেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন ও উত্তর কোরিয়ার নেতা কিম জং উন। এসময় চিনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের সঙ্গে তাঁদের উপস্থিতিকে যুক্তরাষ্ট্র-বিরোধী এক ষড়যন্ত্র বলে তীব্র আক্রমণ করলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। বুধবার নিজের সোশ্যাল মিডিয়া ‘ট্রুথ সোশ্যাল’-এ চিনা প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং- কে উদ্দেশ করে রেগে গিয়েই ট্রাম্প লিখেছেন, “যুক্তরাষ্ট্রের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করার সময় দয়া করে ভ্লাদিমির পুতিন ও কিম জং উনকে আমার উষ্ণ শুভেচ্ছা জানাবেন।”
ট্রাম্প অভিযোগ করেন, চিন দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে দখলদার জাপানি বাহিনীকে তাড়াতে আমেরিকার ভূমিকা খাটো করে দেখানোর চেষ্টা করছে। সোমবার পুতিনের সঙ্গে বৈঠকে শি চিন ও রাশিয়াকে ‘যুদ্ধের বিজয়ী শক্তি’ বলে অভিহিত করেন, কিন্তু মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নাম নেননি। এতেই খাপ্পা ট্রাম্প।
বেজিংয়ে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের অবসানের ৮০তম বার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত বিশাল সামরিক কুচকাওয়াজে তিয়ানআনমেন স্কোয়ারে প্রবেশের সময় শি’র দুই পাশে ছিলেন পুতিন ও কিম। শি সেখানে প্রবীণ সৈনিকদের সঙ্গে হাত মেলান। বৃহৎ এই কুচকাওয়াজে প্রথমবারের মতো প্রকাশ্যে আনা হয় আধুনিক যুদ্ধবিমান, ক্ষেপণাস্ত্র ও নানা উন্নত অস্ত্রশস্ত্র।
তবে তিন নেতার উপর খাপ্পা হলেও চিনা জনগণকে এই মহিমান্বিত উদযাপনের দিনের শুভেচ্ছা জানান ট্রাম্প। পাশাপাশি এই ‘মৈত্রী’কে গুরুত্বহীন বলে উড়িয়ে দিয়েছেন তিনি।