রবিচন্দ্রন অশ্বিনের পথে হেঁটেই বৃহস্পতিবার আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে অবসর নিয়েছেন অমিত মিশ্র। ৪২ বছর বয়সে অবসর ঘোষণা করেন ভারতের এই অভিজ্ঞ লেগ স্পিনার। এর পরই এক সর্বভারতীয় সংবাদ সংস্থাকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে নিজের জীবনের কঠিন সময়ের কথা তুলে ধরেছেন তিনি।
মিশ্র জানিয়েছেন, কেরিয়ারে পর্যাপ্ত সুযোগ না পাওয়ায় এখন আর তাঁর কোনও আফসোস নেই। তবে একটা সময় রীতিমত হতাশ এবং ক্ষুব্ধ হয়ে পড়েছিলেন তিনি।
২০০৩ সালে দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে ওডিআই অভিষেক ঘটলেও টেস্ট খেলতে আরও ৫ বছর অপেক্ষা করতে হয়েছিল অমিত মিশ্রকে। ২০০৮ সালে মোহালিতে অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে টেস্ট অভিষেক হয় তাঁর। অনিল কুম্বলের অনুপস্থিতিতে ভারতীয় দলে সুযোগ পেয়েই ৫ উইকেট নেন মিশ্র। সেই প্রসঙ্গে এদিন তিনি বলেন, “অভিষেকের পর আমার কেরিয়ারে ৫ বছরের গ্যাপ ছিল। যদি তা না থাকত, তা হলে আমি আরও বেশি ম্যাচ খেলতে পারতাম।”
সদ্য অবসর নেওয়া লেগ স্পিনার ব্যখ্যা দেন, “২০০৩ সালে বাংলাদেশে আমার ওয়ানডে অভিষেক হয়েছিল। এর পর ৫ বছরের গ্যাপ। আমি পারফর্ম করছিলাম এবং সব কিছুই করছিলাম। তবু ৫ বছরেও আমি ভারতীয় দলে ফিরতে পারিনি। যদিও সে জন্য আমি আফসোস করি না। শুধু এটাই বলতে পারি যে যদি আরও ৩-৪ বছর বা দু’বছর আগে কামব্যাক করতে পারতাম তাহলে আরও বেশি ম্যাচ খেলার সুযোগ পেতাম। সেই সঙ্গে আরও ভাল পারফর্ম করতে পারতাম।”
তবে এর পরই মিশ্র স্বীকার করেছেন যে, কেরিয়ারের উত্থান-পতন নিয়ে এখন আর কোনও আফসোস না থাকলেও একটা সময় সত্যি সত্যিই হতাশাগ্রস্ত হয়ে পড়েছিলেন তিনি। বলেন, “আমার কোনও আক্ষেপ নেই। যখনই সুযোগ পেয়েছি, আমি আমার ১০০ শতাংশ দিয়েছি। আমাকে যা বলা হয়েছিল তা আমি সব সময় প্রমাণ করেছি। নিজের পারফরম্যান্সে মনোযোগ দিয়েছি। যদিও আমি এক থেকে দেড় বছর ধরে খুবই হতাশাগ্রস্ত ছিলাম। আমি ক্ষুব্ধ ছিলাম। কারণ আমি পারফর্ম করছিলাম।”
কীভাবে সে অবস্থা থেকে বেরিয়ে এসেছেন তা-ও জানিয়েছেন মিশ্র। তাঁর কথায়, “এক থেকে দেড় বছর এমনটা চলার আমি নিজের সঙ্গে কথা বলি। আমি বললাম, আমি ক্রিকেট খেলতে চাই। আমি ক্রিকেট খেলছি, এবং পারফর্মও করছি। তা হলে কীভাবে আরও উন্নতি করা যায়? আমার ক্রিকেটে আর কী যোগ করতে পারি আমি? এভাবেই ওই পর্যায় কাটিয়ে বেরিয়ে আসতে পেরেছি আমি। যে ক্রিকেট ভালোবাসে তার কখনওই হতাশ হয়ে যাওয়া উচিত নয়।” উল্লেখ্য, ভারতের হয়ে ৬৮ টি আন্তর্জাতিক ম্যাচে অংশ নিয়ে ১৫৬ উইকেটের মালিক অমিত মিশ্র।
