ফের বিতর্কে জড়ালেন সাংসদ মহুয়া মৈত্র।এবার মতুয়া সমাজ নিয়ে মন্তব্য করায় নিজের দলের মধ্যেই প্রবল সমালোচনার মুখে পড়লেন নদিয়ার কৃষ্ণনগর লোকসভা কেন্দ্রের তৃণমূল সাংসদ। মহুয়ার নিঃশর্ত ক্ষমা দাবি করেছেন তৃণমূল সাংসদ মমতাবালা ঠাকুরের অল ইন্ডিয়া মতুয়া মহাসংঘের সাধারণ সম্পাদক সুকেশ চৌধুরী ৷
নমঃশূদ্র, মতুয়াদের নিয়ে মন্তব্যে বিতর্কে জড়িয়েছেন কৃষ্ণনগরের লোকসভা সাংসদ৷ সম্প্রতি কৃষ্ণনগরে একটি সভা থেকে মহুয়া মৈত্র মতুয়া ভোটারদের বিজেপিমুখী ঝোঁকের প্রসঙ্গ তোলেন। তোপ দেগে বলেন – সারাবছর তৃণমূল, আর ভোটের সময় সনাতনী, এটা কী অঙ্ক ভাই ? তিনি বলেন, “এ কেমন আচরণ? সারা বছর তৃণমূল কংগ্রেসের সঙ্গে থাকবেন, আর ভোটের সময় হিন্দুর মতো আচরণ করবেন? কাজ চাই, উন্নয়ন চাই, রাস্তা চাই—তখন মনে পড়বে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নাম। ভাতা তুলতে আসবেন রাজ্য সরকারের বিভিন্ন প্রকল্প থেকে, কাঠের বালা পরে। তারপর কী হয় আপনাদের? আমি জানি আমার এই ভিডিও ভাইরাল হবে। কিন্তু আমি একেবারেই পাত্তা দিচ্ছি না।”
এই মুহূর্তে মতুয়ারা তৃণমূল ও বিজেপি দু-দলেরই বড় ভোট ব্যাঙ্ক।২০১৯ সালের লোকসভা ভোট থেকে মতুয়াদের একটা বড় অংশ বিজেপির দিকে ঝুঁকেছে। কাজেই মতুয়াদের নিয়ে এমন মন্তব্যে হাতে ইস্যু পেতে দেরী হয় নি গেরুরা শিবিরের।মতুয়া সম্প্রদায়ভুক্ত বনগাঁর সাংসদ তথা কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী শান্তনু ঠাকুর কটাক্ষ করে জানান, “মহুয়া মৈত্র যে ভাতার কথা বলছেন, সেটা রাজ্য সরকারের দেওয়া, তৃণমূল কংগ্রেসের নয়। না মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, না মহুয়া মৈত্র, কেউ ব্যক্তিগতভাবে এই টাকা দেন না। সাধারণ মানুষের ট্যাক্সের টাকা থেকেই ভাতা দেওয়া হয়। তিনি নিজে মতুয়া নন। তাই এই মন্তব্য মতুয়া সমাজকে অপমান করার সমান। এর জবাব তারা সময় মতো দেবেন।”
তবে শুধু শান্তনু ঠাকুর নন, তৃণমূলের রাজ্যসভার সাংসদ মমতাবালা ঠাকুরের নেতৃত্বে থাকা অল ইন্ডিয়া মতুয়া মহাসঙ্ঘ এই ইস্যুতে মহুয়ার বিরুদ্ধে সরব হয়েছেন। মহাসঙ্ঘের সাধারণ সম্পাদক সুকেশ চৌধুরী জানিয়েছেন, “ভাতা রাজ্য সরকারের উন্নয়ন প্রকল্পের অংশ, কোনো ব্যক্তিগত উদ্যোগ নয়। মহুয়া মৈত্রকে নিঃশর্তে ক্ষমা চাইতে হবে।” তিনি আরও বলেছেন, “যদি সাংসদ ক্ষমা না চান, মতুয়ারা ভবিষ্যতে বিকল্প সিদ্ধান্ত নিতে বাধ্য হবে এবং বিষয়টি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কেও জানানো হবে।”
Leave a comment
Leave a comment