নির্বিচারে গাছ কাটা নিয়ে কেন্দ্র ও চার রাজ্য সরকারকে তুলোধনা করল শীর্ষ আদালত। সর্বোচ্চ আদালত এদিন স্পষ্ট জানিয়ে দেয় প্রকাশ্যে আইন ভাঙা হচ্ছে। নির্বিচারে যত্রতত্র কাটা হচ্ছে গাছ। এর ফলে বাড়ছে বন্যা, ভূমিধসের মতো প্রাকৃতিক বিপর্যয়। কেন এই অনৈতিক কাজ হচ্ছে, তা জানতে চেয়ে চার রাজ্য এবং কেন্দ্রীয় সরকারের বিরুদ্ধে নোটিস জারি করল সুপ্রিম কোর্টের দুই বিচারপতির বেঞ্চ।
চলতি বছরে বন্যায় বিপর্যস্ত উত্তর ভারতের চার রাজ্য। দিল্লি, উত্তরাখণ্ড, জম্মু ও কাশ্মীর এবং পঞ্জাবে ভারী বর্ষণ চলছে। মেঘ ভাঙা বৃষ্টি, বন্যা ও ভূমিধসে মৃত্যু হয়েছে বহু মানুষের। ভেঙে পড়েছে ঘরবাড়ি, যোগাযোগ ব্যবস্থা। দিল্লি ও সংলগ্ন এলাকার বহু জায়গা এখনও জলমগ্ন। বন্যা ও বিভিন্ন এলাকায় অবৈধভাবে গাছ কাটার ঘটনায় স্বতঃপ্রণোদিত একটি মামলা ওঠে শীর্ষ আদালতের প্রধান বিচারপতি বি আর গাভাই এবং বিচারপতি কে বিনোদ চন্দ্রনের বেঞ্চে। বৃহস্পতিবার ওই মামলার শুনানি ছিল। এদিনের শুনানিতে প্রধান বিচারপতি গাভাই বলেন, “উত্তর ভারতের কয়েকটি রাজ্যে আমরা অভূতপূর্ব বৃষ্টি ও বন্যার মুখোমুখি হয়েছি। আমার মনে হয়, এই ঘটনার সঙ্গে নির্বিচারে গাছ কেটে ফেলার একটা সম্পর্ক রয়েছে। এটা এক গুরুত্বপূর্ণ সমস্যা। এর দ্রুত সমাধান হওয়া দরকার। উন্নয়ন অবশ্যই দরকার। কিন্তু উন্নয়ন ও পরিবেশ একে অপরের বিরোধী নয়। বরং উন্নয়ন ও পরিবেশ সুরক্ষার মধ্যে ভারসাম্য বজায় রাখতে হবে।” এরপরেই কেন নির্বিচারে গাছ কাটা চলছে তা জানতে চেয়ে প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বাধীন বেঞ্চ কেন্দ্র ও চার রাজ্যের বিরুদ্ধে নোটিস জারি করে। তিন সপ্তাহের মধ্যে সরকারকে এই নোটিসের জবাব দিতে হবে বলেও আদালত জানিয়েছে।
এ দিনের শুনানিতে সরকারের তরফে সলিসিটর জেনারেল তুষার মেহতা বলেন, প্রকৃতির সঙ্গে আমরা বড় ধরনের অন্যায় করছি। এটা খুবই দুঃখজনক, এখন তার এই পাল্টা আঘাত আমাদের সহ্য করতে হচ্ছে।