বিধানসভায় একের উপর এক দলীয় বিধায়ককে বহিষ্কারের ঘটনায় তৃণমূল সরকারকে কড়া ভাষায় আক্রমণ করলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। বিধানসভার বাইরে তিনি বলেন, শঙ্কর ঘোষ-সহ অন্য বিধায়কদের যেভাবে বের করে দেওয়া হয়েছে তা চরম স্বৈরাচারী শাসকের উদাহরণ। এই স্বৈরাচারী মমতা সরকারের শীঘ্রই পতন হবে বলে আমরা বিশ্বাস করি। বাংলার জনগণ আমাদের বিধানসভায় যে দায়িত্ব দিয়ে পাঠিয়েছে আজকে স্বৈরাচারী সরকারকে আড়াই ঘণ্টায় আমরা সেটা বুঝিয়ে দিয়েছি। আমরা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে ১০ গোল দিয়েছি আজ। ১৪ বছর ৪ মাসের শাসনে উনি এর আগে কখনও এমন বিরোধিতার মুখে পড়েননি। উনি ভেবেছিলেন বিরোধী দলনেতাকে বাইরে রাখলেই সমস্যা মিটে যাবে। কিন্তু আজকে বিজেপির ৬৪ জন বিধায়ক বুঝিয়ে দিয়েছেন তাঁরা প্রত্যেকেই একজন করে বিরোধী দলনেতা।
শুভেন্দু আরও বলেন, মুখ্যমন্ত্রী যেভাবে বিধানসভায় প্রধানমন্ত্রী ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে চোর বলেছেন তার নিন্দা করার ভাষা নেই। প্রধানমন্ত্রীকে যেভাবে তিনি চোর বলেছেন তার জন্য মুখ্যমন্ত্রীর বিরুদ্ধেও আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার দাবিও তুলেছেন শুভেন্দু।
বিধানসভায় এদিনের ঘটনায় তীব্র প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন বিজেপি বিধায়ক অশোক দিন্দা। তিনি বলেছেন, তাঁরা সভায় কোনওরকম চিৎকার চেঁচামেচি করেননি। তৃণমূল বিধায়করা তাঁদের উপর চড়াও হন। এমনকী, হুমকিও দেন। স্পিকার পুরোপুরি পক্ষপাতিত্ব করছেন। তাই তাঁরা স্পিকারকে বলছেন, শুধু শুভেন্দু বা শঙ্কর ঘোষ নয়, প্রয়োজনে সব বিজেপি বিধায়ককে বের করে দিয়ে বিরোধীশূন্য সভা পরিচালনা করুন।
এদিনের ঘটনায় অসুস্থ হয়ে পড়েছেন বিজেপি বিধায়ক বঙ্কিম ঘোষ। তাঁর অভিযোগ, মুখ্যমন্ত্রী যখন সভায় বক্তব্য রাখতে উঠছেন তখন স্লোগান দেওয়ার জন্য ফিরহাদ হাকিমকে মাইক অ্যালাও করেছিলেন স্পিকার। বারবার বলার পরও তিনি সেটা বন্ধ করেননি। আসলে গন্ডগোল পাকানোই স্পিকারের উদ্দেশ্য।
রাজ্য বিধানসভায় বিজেপি বিধায়কদের হেনস্থার বিষয়ে খোঁজখবর নিয়েছেন দলের সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডা। বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর কাছ থেকে নাড্ডা এদিন অসুস্থ বিধায়কদের ছবি ও ভিডিয়ো নিয়েছেন বলে বিরোধী দলনেতা জানিয়েছেন। শুভেন্দু আরও জানিয়েছেন, নাড্ডা এদিন বিধানসভার ঘটনা সম্পর্কে ফোনে তাঁর সঙ্গে দীর্ঘক্ষণ কথা বলেছেন।
