অতিরিক্ত শুল্কের যৌক্তিকতার প্রমাণ দিতে এবার সুপ্রিম কোর্টে ছুটতে হচ্ছে ট্রাম্প প্রশাসনকে। কারণ মার্কিন প্রেসিডেন্টের বেশিরভাগ আরোপিত শুল্ক অবৈধ বলে রায় দিয়েছে ফেডারেল আপিল আদালত। সেই রায়কে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টে আবেদন করা হয়েছে। আদালতের কাগজপত্রে, ট্রাম্প প্রশাসন যে যুক্তি দিয়েছে তাতে উঠে এসেছে ভারত প্রসঙ্গ। বলা হয়েছে অতিরিক্ত শুল্ক আদতে ইউক্রেনে মার্কিন শান্তির প্রচেষ্টার একটি গুরুত্বপূর্ণ হাতিয়ার হিসেবেই এসেছে।
গত সপ্তাহেই এক মার্কিন আপিল আদালত রায় দেয় যে ট্রাম্পের চাপানো অনেক শুল্ক যা বিশ্ব বাণিজ্যকে নাড়িয়ে দিয়েছে,তা অবৈধ। মার্কিন ফেডারেল সার্কিট আপিল আদালতের ৭-৪ রায়ে বলা হয়েছে, জরুরি অর্থনৈতিক ক্ষমতা ব্যবহার করে ব্যাপক শুল্ক আরোপের ক্ষেত্রে ট্রাম্প তাঁর ক্ষমতার সীমা ছাড়িয়ে গিয়েছিলেন। তবে তাঁর আরোপিত শুল্কে স্থগিতাদেশ দেয়নি আদালত। অক্টোবর পর্যন্ত এই শুল্কই বহাল থাকবে বলে জানানো হয়েছে।
কেন এই শুল্ক চাপানো হয়েছে তার যুক্তি হিসেবে আবেদনে বলা হয়েছে, শুল্ক না থাকলে আমেরিকা ক্রমেই গরিব দেশে পরিণত হবে। রায়ের বিরোধিতা করে ট্রাম্প বলেন, যদি শুল্ক তুলে নেওয়া হয়, তাহলে সেটা আমাদের দেশের জন্য একটা বিপর্যয় ডেকে আনবে। নথিতে লেখা হয়, “প্রেসিডেন্টের মতে, এক বছর আগে আমেরিকা ছিল মৃতপ্রায় দেশ। এখন, যে দেশগুলো এতদিন ধরে আমাদের নিজেদের প্রয়োজনে ব্যবহার করেছে তাদের কাছ থেকে ট্রিলিয়ন ডলার আদায় হওয়ার ফলে আমেরিকা আবার শক্তিশালী, আর্থিকভাবে টেকসই এবং সম্মানিত দেশ হয়ে উঠছে।”
সুপ্রিম কোর্টে ট্রাম্প প্রশাসনকে এমন সময় যেতে হল যখন গত ২৭ আগস্ট আমেরিকা ভারতের ওপর দ্বিগুণ শুল্ক আরোপ করে ৫০ শতাংশে নিয়ে গেছে। এর যুক্তি হিসেবে আদালতে জমা দেওয়া নথিতে ট্রাম্প প্রশাসন উল্লেখ করেছে, ভারতের উপর শুল্ক হল ইউক্রেনে শান্তি আনার প্রচেষ্টার একটি ‘গুরুত্বপূর্ণ অংশ’। তবে এই যুক্তি ট্রাম্পকে কতটা বাঁচাতে পারবে সেটাই এখন দেখার।