কেন্দ্রের জিএসটি সংস্কার নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করে বড় বিতর্কে জড়াল কেরল প্রদেশ কংগ্রেস। এক্স-এ দেওয়া একটি পোস্টে কংগ্রেস লিখেছিল, “বিড়ি আর বিহার- দুটোই বি দিয়ে শুরু হয়, এখন আর পাপ হিসেবে গণ্য করা যাবে না”। পরবর্তীতে সমালোচনার মুখে পোস্টটি মুছে ফেলা হয়।
বিতর্কিত পোস্টের পক্ষে সওয়াল করে কংগ্রেসের প্রাক্তন সাংসদ রাশিদ আলভি কেন্দ্রীয় সরকারের সিদ্ধান্তকেই প্রশ্নবিদ্ধ করেছেন। তিনি বলেন, “বিজেপি বিহার নির্বাচনের কথা ভেবেই বিড়ির ওপর কর কমিয়েছে। এটা অত্যন্ত দুর্ভাগ্যজনক।”
অন্যদিকে, বিহারের উপমুখ্যমন্ত্রী ও বিজেপি নেতা সম্রাট চৌধুরী একে গোটা বিহারের অপমান বলে কটাক্ষ করেছেন। এক্স-এ তিনি লেখেন, “প্রথমে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর মায়ের অপমান, আর এখন গোটা বিহারের। এটাই কংগ্রেসের আসল চরিত্র, যা বারবার দেশের সামনে ধরা পড়ছে।”
বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমারের দল জেডিইউ-র রাজ্যসভার সাংসদ সঞ্জয় কুমার ঝা পোস্টটিকে “চরম লজ্জাজনক কাজ” বলে অভিহিত করেন। তিনি লিখেছেন, “বি মানে শুধু বিড়ি নয়, বি মানে বুদ্ধি, যা কংগ্রেসের নেই। বি মানে বাজেটও, যা দেখে আপনারা ঈর্ষা করেন যখন বিহার বিশেষ সহায়তা পায়। বিহারকে উপহাস করে কংগ্রেস শুধু বিহারের মানুষকেই নয়, দেশের ইতিহাস ও গণতন্ত্রকেও অপমান করেছে। বিহারের মানুষ আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনে এর যথাযথ জবাব দেবে।”
বিজেপির জাতীয় মুখপাত্র শহজাদ পুনাওয়ালা কংগ্রেসকে আক্রমণ করে বলেন, “এই পোস্টই কংগ্রেসের অ্যান্টি-বিহার মানসিকতার প্রমাণ। যদি বি মানে বিড়ি আর বি মানে বিহার হয়, তবে সি মানে কংগ্রেস আর সি মানে দুর্নীতি।”
বুধবার জিএসটি কাউন্সিলের বৈঠকে বিড়ির ওপর কর ২৮ শতাংশ থেকে কমিয়ে ১৮ শতাংশ করা হয়েছে। বিড়ি মোড়ানোর পাতা (তেন্ডু পাতায়) কর ১৮ শতাংশ থেকে নামিয়ে ৫ শতাংশে আনা হয়েছে। তবে তামাক ও সিগারেটের মতো কিছু বিশেষ পণ্যের জন্য ৪০ শতাংশ বিশেষ কর স্ল্যাব প্রস্তাব করা হয়েছে।