রাশিয়া থেকে তেল না কেনার জন্য ভারতকে পরামর্শ দিয়েছিলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। কিন্তু সেই আপত্তি উড়িয়ে মস্কো থেকে তেল কেনা চালিয়ে যাচ্ছে ভারত। যে কারণে ভারতের উপর বিপুল করের বোঝা চাপিয়েছে আমেরিকা। চিনের উপরেও শুল্কের বোঝা চাপিয়েছেন ট্রাম্প। এই পরিস্থিতিতে ভারত ও চিনের ঘনিষ্ঠতা যখন বাড়ছে তখন চিনের সঙ্গে সীমান্ত সমস্যা নিয়ে মুখ খুললেন চিফ অফ ডিফেন্স স্টাফ অনিল চৌহান। সাফ জানালেন, চিনের সঙ্গে আমাদের সীমান্ত নিয়ে যে সমস্যা রয়েছে এই মুহূর্তে সেটাই ভারতের কাছে সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ। ভারতের সামনে দ্বিতীয় বড় চ্যালেঞ্জটি হল পাকিস্তানের ছায়াযুদ্ধ।
শুক্রবার উত্তরপ্রদেশের গোরক্ষপুরে এক অনুষ্ঠানে যোগ দিয়েছিলেন সিডিএস। সেখানেই তিনি বলেন, “এই মুহূর্তে আমাদের কাছে আর্থিক সমস্যা কোনও চ্যালেঞ্জ নয়। বরং আমাদের সমস্যাগুলি অন্য। এই মুহূর্তে ভারত-চিন সীমান্ত নিয়ে যে সমস্যা রয়েছে সেটাই দেশের কাছে সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ। এই সমস্যা দীর্ঘতর হবে কারণ দুই দেশই পরমাণু শক্তিধর। তাই এই সমস্যা মেটাতে আমরা কী ধরনের পদক্ষেপ করব সেটা অনেক গভীরভাবে ভাবতে হবে।” চৌহান আরও জানান, ভারত-চিন সম্পর্ক আগের থেকে অনেকটাই স্বাভাবিক হয়েছে। যার ফলস্বরূপ আবার নতুন করে বাণিজ্য শুরু করেছে দুই দেশ। ভারত-চিন সরাসরি বিমান পরিষেবাও চালু হয়েছে। দুই দেশের মধ্যে ভিসা নিয়ে যে সমস্যা ছিল সেটাও প্রায় মিটে গিয়েছে। নতুন করে শুরু হয়েছে বাণিজ্যিক ও সাংস্কৃতিক আদান-প্রদান।
চিফ অফ ডিফেন্স স্টাফ আরও বলেন, এই মুহূর্তে ভারতের সামনে দ্বিতীয় বড় সমস্যা হল পাকিস্তান। কারণ এই দেশ প্রতিনিয়ত আমাদের বিরুদ্ধে ছায়াযুদ্ধ চালিয়ে যাচ্ছে। যা সমগ্র দক্ষিণ এশীয় অঞ্চলের শান্তি ও নিরাপত্তা বিঘ্নিত করছে। এই মুহূর্তে ভারতের প্রতিবেশী দেশগুলি প্রায় সবই আর্থিক, রাজনৈতিক এবং সামাজিক সমস্যায় জর্জরিত হয়ে রয়েছে। এরই মধ্যে পাকিস্তান যেভাবে সন্ত্রাসবাদীদের মদত দিয়ে চলেছে তা উন্নয়নের পরিপন্থী। অপারেশন সিন্দুরে আমরা পাকিস্তানকে বুঝিয়ে দিয়েছি, ভারতের শক্তি আজ কোথায়। সরকার সেনাবাহিনীকে তাদের মতো করে চলার স্বাধীনতা দিয়েছে। তার ফলেই ভারতীয় সেনাবাহিনী অপ্রতিরোধ্য গতিতে এগিয়ে চলেছে।