ইলন মাস্ক যখন এক্স-কে “এভরিথিং অ্যাপ” বানানোর দৌড়ে ব্যস্ত, তখন প্ল্যাটফর্মের প্রোডাক্ট হেড নিকিতা বায়ার জানালেন ভিন্ন পথের টিপস। তাঁর মতে, এক্স-এর মাধ্যমে ধনী হতে গেলে মিম কয়েনের দৌড়ঝাঁপ বা বড়সড় ক্রিয়েটর পেমেন্টের পিছনে ছোটা একেবারেই ভুল কৌশল।
নিকিতা বায়ার বলেন, “এক্স-এ ধনী হতে চাইলে একটি বিষয় বেছে নিন, যেটা নিয়ে আপনি অন্য সবার চেয়ে বেশি জানেন। সেটা হতে পারে প্লাম্বিং, ফ্যাশন, ভারতীয় খাবার, ফার্নিচার বা সোশ্যাল অ্যাপস – যা কিছুই হোক না কেন।” তাঁর রোডম্যাপ:
•প্রতিদিন নিজের অভিজ্ঞতা থেকে একটি অপ্রত্যাশিত ইনসাইট শেয়ার করুন।
•সেটি ৫ লাইনের মধ্যে রাখুন।
•এভাবে টানা ৬ মাস চালিয়ে যান।
বায়ারের প্রতিশ্রুতি, যাঁরা এই ধারাবাহিকতায় টিকে থাকবেন, তাঁদের এক্স নিজেই অন্য ব্যবহারকারীদের কাছে প্রোমোট করবে। ফলে ছ’মাস শেষে আপনি হয়ে উঠতে পারেন আপনার নির্বাচিত ক্ষেত্রে বিশ্বস্ত কণ্ঠস্বর, এমনকি “বিশ্বের শীর্ষ বিশেষজ্ঞ”।
বায়ারের মতে, এরপর আপনি চাইলে ব্র্যান্ড এনডোর্সমেন্ট, কনসালটেশন বা ব্যক্তিগত সময়ের জন্য নিজের শর্তে পারিশ্রমিক নিতে পারবেন। আর এই কর্তৃত্ব কেউ আপনার কাছ থেকে কেড়ে নিতে পারবে না।
এই দৃষ্টিভঙ্গি ক্রিয়েটর ফান্ড বা অ্যাড-শেয়ারের ক্ষুদ্র আয়ের বাইরে গিয়ে পুরানো মূলনীতিতে ফেরত নিয়ে আসে – নিয়মানুবর্তিতা, বিশ্বাসযোগ্যতা এবং নিজস্ব জায়গা তৈরি করা।
তবে বড় প্রশ্ন হল, ব্যবহারকারীরা কি সত্যিই প্রতিদিন ছ’মাস ধরে এই রুটিন মেনে চলতে পারবেন? কারণ দ্রুত ভাইরাল হওয়ার প্রলোভন অনেক বেশি। তবুও বায়ারের মতে, ক্ষণস্থায়ী জনপ্রিয়তার চেয়ে দীর্ঘমেয়াদে বিশেষজ্ঞ হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হওয়াই বেশি লাভজনক।