ভারতের চালেই ভারতকে কাত করার মতলব ভাঁজছে পাকিস্তান। বলা ভালো, আর কোনও উপায় না দেখে কার্যত ভারতের নকল করার চেষ্টা করছে পাকিস্তান। এর আগে গত চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির সময় উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের জন্য অধিনায়ক রোহিত শর্মাকে পাকিস্তানে পাঠায়নি বিসিসিআই। এবার ভারতের বুকে আয়োজিত হতে চলা মহিলাদের ওয়ানডে বিশ্বকাপেও একই পথে হাঁটতে চলেছে পাক ক্রিকেট বোর্ড। পাকিস্তানের এক নামী সংবাদ মাধ্যমের খবর অনুযায়ী, আগামী ৩০ সেপ্টেম্বর গুয়াহাটিতে অনুষ্ঠিত হতে চলা মহিলা বিশ্বকাপের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে অংশ নেবে না পাকিস্তান দল।
ভারত এবং শ্রীলঙ্কায় যৌথভাবে বসতে চলেছে মহিলাদের ওডিআই বিশ্বকাপের আসর। তার আগে এক জমকালো উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে মাতবে গুয়াহাটি। যেখানে শ্রেয়া ঘোষালের সুরেলা সঙ্গীতের মাধ্যমে সূচনা ঘটবে আসন্ন বিশ্বকাপের। তবে উক্ত সংবাদ মাধ্যমকে একটি সূত্র জানিয়েছে, এই অনুষ্ঠানে পাকিস্তান মহিলা দলের অধিনায়ক ফতিমা সানা কিংবা অন্য কোনও ক্রিকেটার যোগ দিচ্ছেন না। ঠিক যেমনটা রোহিত করেছিলেন চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির সময়।
পহেলগাঁওয়ের হামলার ঘটনার পর ভারত এবং পাকিস্তানের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক পুরোপুরি তলানিতে পৌঁছেছে। তবে তার আগেই চলতি বছরের শুরুতে পাকিস্তানে গিয়ে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি খেলতে অস্বীকার করে ভারত। সেই প্রতিযোগিতায় নিজেদের সব ম্যাচ তারা খেলে দুবাইয়ের মাঠে। আসন্ন বিশ্বকাপে একই পন্থা নিয়েছে পাকিস্তানের মহিলা দলও। নিজেদের সব ম্যাচ তারা খেলবে শ্রীলঙ্কার মাটিতে। এমনকি তারা যদি ফাইনালে ওঠে, আগামী ২ নভেম্বর সেই ম্যাচও হবে কলম্বোতে।
আপাতত ৩ বছর এই ব্যবস্থাই জারি থাকবে। এই সময়ের মধ্যে কোনও বহুজাতিক প্রতিযোগিতা খেলতে ভারত যেমন পাকিস্তানে যাবে না। একইভাবে পাকিস্তানের দলও পা রাখবে না ভারতের মাটিতে। দুই দেশের মধ্যে রাজনৈতিক সম্পর্কের টানাপোড়েনের কারণে এমনিতেই ২০১২-১৩ মরশুমের পর থেকে বন্ধ রয়েছে দুই দেশের দ্বিপাক্ষিক ক্রিকেট সিরিজ। উল্লেখ্য, এবারের মহিলা বিশ্বকাপের বাছাই পর্বে অপরাজিত থেকে যোগ্যতা অর্জন করেছে পাকিস্তান। বাছাই পর্ব আয়োজন করেছিল তারাই। এর পর ৫ ম্যাচের ৫ টিতেই জয়লাভ করে। বিশ্বকাপে আগামী ৫ অক্টোবর মুখোমুখি হবে ভারত-পাকিস্তান।
