পুরুলিয়ার ঐতিহ্যবাহী সাহেব বাঁধে মাছের মৃত্যু ও জলের দূষণ চরম পর্যায়ে পৌঁছেছে। সম্প্রতি পরিবেশবিদ সুভাষ দত্ত নিজে বাঁধ পরিদর্শন করে দেখেন, দূষণের কারণে বড়ো বড়ো মাছ ভেসে উঠছে। কচুরি পানা পরিষ্কার করা হয়েছে, জাল টাঙ্গানো হয়েছে সাধারণ মানুষের প্রবেশ রোধে, তবু দূষণ কমানো সম্ভব হয়নি। জলের শোধনের কাজে ব্যবহৃত সিলভার কাপ মাছও টিকে পারছে না, মারা যাচ্ছে ১০–১২ কেজির কাতলা মাছ। সুভাষ দত্ত বলেন, শুধু পানা সরানো যথেষ্ট নয়, সম্পূর্ণ জল শোধনের ব্যবস্থা জরুরি।
পরিবেশবিদ দত্ত জানিয়েছেন, সাহেব বাঁধের দূষণ এভাবে চলতে থাকলে পরিবেশ ও মানুষের জীবন বিপন্ন হবে। তিনি পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পরিবেশ আদালতের দ্বারস্থ হবেন। পৌরসভার ভাইস চেয়ারম্যান ময়ূরী নন্দীও উদ্বেগ প্রকাশ করেন। তিনি বলেন, ২০২২ সালে পৌরসভা ৩০ লক্ষ টাকা খরচ করে বাঁধ পরিষ্কার করেছিল, কিন্তু দূষণ কেন বেড়েছে তা ঠিক বলা যায় না। কাজটি কোনো ই-টেন্ডারের মাধ্যমে করা হয়নি।
বিজেপি নেতা গৌতম রায় জানান, একসময় গ্রীষ্মকালে মানুষ সাহেব বাঁধের জলে ভরসা করত, এখন সেই জলের বিষক্রিয়ায় মাছ মারা যাচ্ছে। তিনি সকল রাজনৈতিক দলকে একযোগে উদ্যোগ নিয়ে বাঁধ বাঁচানোর আন্দোলন গড়ে তোলার আহ্বান জানান। পুরুলিয়ার ঐতিহ্যবাহী সাহেব বাঁধ কত দ্রুত দূষণমুক্ত হবে, তা এখনো অজানা। পরিবেশবিদ ও স্থানীয় প্রশাসনের কার্যকর পদক্ষেপ না নিলে শুধু মাছ নয়, মানুষের জীবনও ঝুঁকির মুখে পড়বে।