তাঁর নিজের অবস্থান থেকে দু’পা পিছিয়ে ছিলেন ট্রাম্প। সঙ্গে সঙ্গেই ভারতের তরফ থেকেও এল ইতিবাচক বার্তা। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিও জানালেন, ট্রাম্পের এই ইতিবাচক বক্তব্যের প্রতিদান দেবেন তিনি। ট্রাম্পের অবস্থানের প্রশংসাও শোনা গিয়েছে মোদির মুখে। বিষয়টি প্রত্যক্ষ করে কূটনীতিকরা মনে করছেন, অবশেষে ভারত এবং আমেরিকার সম্পর্কের শীতলতা কাটতে চলেছে। উল্লেখ্য, শনিবার ট্রাম্প বলেন, ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি তাঁর ভালো বন্ধু ছিলেন, আছেন এবং থাকবেন।
ট্রাম্প মোদিকে পরামর্শ দিয়েছিলেন রাশিয়া থেকে তেল না কিনতে। কিন্তু ট্রাম্পের সেই পরামর্শকে আদৌ-আমল দেয়নি মোদি সরকার। তারা রাশিয়া থেকে তেল কেনা বজায় রাখে। যে কারণে ভারতের উপর ৫০ শতাংশ শুল্ক চাপিয়েছেন ট্রাম্প। এই ঘটনায় ভারত-আমেরিকা সম্পর্কের যেমন অবনতি হয়েছে তেমনই নয়াদিল্লির ঘনিষ্ঠতা বেড়েছে চিনের সঙ্গে। আন্তর্জাতিক দুনিয়া মনে করছে, ভারত, চিন ও রাশিয়াকে নিয়ে গড়ে উঠতে চলেছে এক নতুন অক্ষ। যা নিয়ে ঘরে বাইরে প্রবল চাপের মধ্যে পড়েন ট্রাম্প। সেই চাপের কারণেই নিজের আগের অবস্থান থেকে ট্রাম্প পিছু হটেছেন বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল। মার্কিন প্রেসিডেন্ট স্বীকার করেছেন, মোদি তাঁর বন্ধু ছিলেন আছেন এবং থাকবেন।
ট্রাম্পের ওই মন্তব্য শোনার পরই পাল্টা প্রতিক্রিয়া এসেছে মোদির কাছ থেকে। শনিবার সকালে দু’লাইনের বার্তা দিয়ে এক্স হ্যান্ডেলে একটি পোস্ট করেছেন মোদি। সেখানে তিনি লিখেছেন, “প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের অনুভূতি এবং আমাদের সম্পর্ক নিয়ে ওঁর ইতিবাচক ভাবনার প্রশংসা করি। আমরা অবশ্যই এর সম্পূর্ণ প্রতিদান দেব।” মোদি আরও লিখেছেন, “ভারত এবং আমেরিকার মধ্যে অত্যন্ত ইতিবাচক, ভবিষ্যৎমুখী এবং কৌশলগত অংশীদারি রয়েছে।”
ভারতের সঙ্গে বিশেষ সম্পর্ক এবং মোদির সঙ্গে বিশেষ বন্ধুত্বের কথা বললেও ট্রাম্পের আক্ষেপ, ভারত রাশিয়ার কাছ থেকে তেল কেনা চালিয়ে যাওয়া তিনি হতাশ। সেই হতাশার কথা ভারতকেও জানিয়েছেন। তবে ট্রাম্পের এই বক্তব্যের কোনও জবাব মেলেনি ভারতের বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র রণধীর জয়সোয়ালের কাছ থেকে। এই প্রসঙ্গে তিনি জানান, যেখানে সস্তায় মিলবে সেখান থেকেই জিনিস কিনবো আমরা। কারও কোনও ওজর আপত্তিতে আমরা কান দিতে চাই না। কারণ আমরাও নিজেদের ভালো বুঝি।
একই সঙ্গে জয়সোয়াল জানিয়েছিলেন, আমেরিকা এবং ভারতের মধ্যে বাণিজ্য সমঝোতার জন্য আলোচনা চলছে। তবে এখনও চূড়ান্ত কিছু হয়নি। তবে এবার দুই রাষ্ট্রপ্রধান ডোনাল্ড ট্রাম্প ও নরেন্দ্র মোদি যে ভাষায় কথা বলেছেন তাতে কূটনৈতিক মহল মনে করছে, শেষ পর্যন্ত ভারত ও আমেরিকার সম্পর্কের শীতলতা কাটতে চলেছে।
Leave a comment
Leave a comment
