এক সময় পলিসিস্টিক ওভারি সিনড্রোম বা পিসিওএসের সমস্যায় ভুগতেন শচীন কন্যা সারা তেন্ডুলকর। বয়ঃসন্ধির সময় থেকেই সারার শরীরে পিসিওএস লক্ষণ ধরা পড়ে। সেই সময় নিজের চেহারা নিয়ে যথেষ্টই ভেঙে পড়েছিলেন সারা। শুরু হয়েছিল চিকিৎসা তবে কেবলমাত্র ওষুধেই ভরসা রাখেননি তিনি। বদলে ফেলেছিলেন জীবনযাত্রার ধরনও। হরমোন ঘটিত এই রোগ নিয়ে এদেশে বহু মেয়েই নাজেহাল। নিয়মিত ওষুধপত্র এবং ডায়েটেও অনেকেই এই রোগ থেকে মুক্তি পান না। কিন্তু সারা কীভাবে এই রোগ সারিয়েছেন সে কথা নিজেই জানিয়েছেন।
সারা জানিয়েছেন, প্রথমদিকে তিনি ত্বক থেরাপির নানান রকম ওষুধ খেতেন। সঙ্গে ছিল রেটিনাল ট্রিটমেন্ট। নিয়মিত অ্যান্টিবায়োটিক ওষুধও খেতে শুরু করেন। কিন্তু তাতে লাভ হয়নি। বাধ্য হয়ে তাঁর মা অঞ্জলি তেন্ডুলকর তাঁকে পুষ্টিবিদদের কাছে নিয়ে যান। তাতেই বদলায় জীবন যাপনের ধরন। পুষ্টিবিদদের পরামর্শে কার্বোহাইড্রেট খাওয়া কমিয়ে বেশি করে প্রোটিন খাওয়া শুরু করেন সারা। নিয়ম মেনে ফাস্টিংও করতেন। তাতে দ্রুত ওজন কমে। সেই সঙ্গে বদলে ফেলেন খাওয়া দাওয়ার অভ্যাস। দিনের শুরুতে ব্রেকফাস্ট ছিল এক গ্লাস জল, বাদাম ও কালো কফি। একেবারে বন্ধ করে দেন দুধ ও চিনি খাওয়া। নরম পানীয়র বদলে শুরু করেন ডিটক্স পানীয় খাওয়া। সঙ্গে চলত ভোরে ঘুম থেকে উঠে শরীর চর্চা। এতে এক দিকে যেমন তাঁর কাজের উৎসাহ বাড়ত, তেমনই পেতেন শারীরিক শক্তি। রাতেও খুব তাড়াতাড়ি তিনি ঘুমোতে যেতেন। এভাবেই নিয়ম মতো শরীর চর্চা ও ডায়েটেই তাঁকে পিসিওএস মুক্ত করেছে।
উল্লেখ্য, অনেক কিশোরী পিসিওএস আক্রান্ত হন। এই রোগে আক্রান্তের গোটা মুখ ব্রণয় ভরে যায়। শরীরে লোমের আধিক্য দেখা যায়। ত্বক স্পর্শকাতর ও তৈলাক্ত হয়ে পড়ে সঙ্গে বাড়ে ওজন।
তবে পিসিওএস সংক্রান্ত সমস্যায় যাঁরা ভুগছেন তাঁদের চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া অত্যন্ত জরুরি।
Leave a comment
Leave a comment
