তৃতীয় স্ত্রী ও তার প্রেমিকের হাতে খুন হলেন এক প্রৌঢ়। এমনই অভিযোগ প্রতিবেশীদের। নিহতের নাম ভাইয়ালাল রজক। মধ্যপ্রদেশের অনুপপুর জেলার সাকারিয়া গ্রামের ঘটনা। বাড়ি সংলগ্ন একটি কুয়ো থেকে কম্বলে জড়ানো, বস্তায় ভরা ভাইয়ালালের দেহ উদ্ধার হয়।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ভাইয়ালালের তিন বিয়ে। প্রথম স্ত্রী অনেক দিন আগেই তাকে ছেড়ে চলে গিয়েছেন। প্রথম স্ত্রী চলে যাওয়ায় ফের বিয়ে করেন ভাইয়ালাল। গুড্ডি বাঈ নামে এক মহিলাকে বিয়ে করেন তিনি। কিন্তু গুড্ডি বাঈয়ের কোনও সন্তান হচ্ছিল না। সন্তান না হওয়ার কারণে ভাইয়ালাল এবং গুড্ডির মধ্যে রোজদিনই অশান্তি হত। তাই ফের বিয়ে করার সিদ্ধান্ত নেন ভাইয়ালাল।
এবার তিনি তাঁর দ্বিতীয় স্ত্রীর বোন অর্থাৎ শ্যালিকা মুন্নিকে বিয়ে করেন। ভাইয়ালাল এবং মুন্নির দু’টি সন্তান হয়। কিন্তু স্থানীয় যুবক নায়ারণ দাস কুশওয়াহার সঙ্গে মুন্নির বিবাহ-বহির্ভূত সম্পর্ক গড়ে উঠে। তাঁদের এই সম্পর্কে বাধা হয়ে দাঁড়াচ্ছিলেন মুন্নির স্বামী ভাইয়ালাল। ফলে তাঁকে রাস্তা থেকে সরিয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেন মুন্নি এবং তাঁর প্রেমিক নায়ারণ। মুন্নির প্রেমিক তাঁর এক কর্মী ধীরজ কলকে ভাইয়ালালকে খুনের কাজে লাগান।
প্রাথমিক তদন্তে পুলিস জানতে পেরেছে, ৩০ অগস্ট ভাইয়ালাল যখন ঘুমোচ্ছিলেন তখন লাল্লু এবং ধীরজ সেখানে আসেন। প্রথমে লোহার রড দিয়ে ঘুমন্ত ভাইয়ালালের মাথায় একের পর এক আঘাত করে তারা। তারপর মৃত্যু নিশ্চিত করতে ভাইয়ালালের হাত-পা বেঁধে কম্বলে জড়িয়ে বস্তার মধ্যে ভরে বাড়ির কাছেই একটি পরিত্যক্ত কুয়োয় ফেলে দেয় তারা। সকালে ভাইয়ালালকে দেখতে না পেয়ে খোঁজাখুঁজি শুরু করেন দ্বিতীয় স্ত্রী গুড্ডি। তখনই গুড্ডি দেখতে পান কুয়োর জলে কিছু ভাসছে। গুড্ডিই পুলিসে খবর দেন। পুলিস কুয়ো থেকে ভাইয়ালালের দেহ উদ্ধার হয়। তদন্তে নেমে পুলিশ জানতে পারে ভাইয়ালালের তৃতীয় স্ত্রীর বিবাহ-বহির্ভূত সম্পর্কের কথা। তাতেই সন্দেহ হয় তদন্তকারীদের। তার পরই মুন্নিকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করে পুলিস। জেরায় মুন্নি ভাইয়ালালকে খুনের কথা স্বীকার করে নেয়। পুলিস মুন্নি এবং তার প্রেমিককে গ্রেফতার করেছে।
Leave a comment
Leave a comment