কৃষ্ণনগরে ছাত্রী ঈশিতা মল্লিককে খুনের ঘটনায় মূল অভিযুক্তর বাবা রাঘবেন্দ্র প্রতাপ সিং এবার পুলিসের জালে। রবিবার রাজস্থান থেকে তাঁকে গ্রেফতার করেছে কোতোয়ালি থানার পুলিশ। ঈশিতাকে খুনের ঘটনায় জড়িত দেশরাজকে তার বাবা রাঘবেন্দ্র পালিয়ে যেতে সব ধরনের সাহায্য করেছিলেন বলে অভিযোগ। পুলিসের অনুমান, ঈশিতাকে খুনের পর অভিযুক্ত দেশরাজকে পালাতে সাহায্য করেছিলেন বাবা রাঘবেন্দ্র। কিন্তু রাঘবেন্দ্রর গ্রেফতারি নিয়ে চলছিল বিতর্ক। রাঘবেন্দ্র বিএসএফে কর্মরত। অভিযোগ, রাঘবেন্দ্রকে জেলা পুলিশের হাতে তুলে দিচ্ছিল না বিএসএফ। দীর্ঘ টালবাহানার পর রবিবার রাঘবেন্দ্রকে গ্রেফতার করা হয়।
অতিরিক্ত পুলিস সুপার সঞ্জয় মিত কুমার জানিয়েছেন, জয়সলমিরের আদালতে তোলা হবে রাঘবেন্দ্রকে। আদালতের কাছ থেকে ট্রানজিট রিমান্ডে তাঁকে নদিয়ায় আনা হবে।
রাঘবেন্দ্র কীভাবে ছেলেকে পালাতে সাহায্য করেছিলেন, সেই বিষয়ে জানতে তাঁকে জেরা করা হবে বলে খবর। বাড়িতে ঢুকে ঈশিতাকে খুনের পরই রহস্যজনকভাবে উধাও হয়ে যান দেশরাজ। তাঁকে খুঁজে পেতে নাজেহাল হতে হয় পুলিশকে। শেষ পর্যন্ত উত্তরপ্রদেশের একটি গোপন ডেরা থেকে দেশরাজকে গ্রেফতার করে কৃষ্ণনগর জেলা পুলিশ। তার আগে দেশরাজের আশ্রয় দেওয়ার জন্য মামা কুলদীপ সিংকে গ্রেফতার করে পুলিশ।
পুলিস সূত্রে খবর, ঈশিতা খুনের তদন্ত চলাকালীন বিএসএফ জওয়ান রাঘবেন্দ্রের নাম সামনে আসে। ঘটনার পরেই দেশরাজ একটি হোটেলে লুকিয়ে ছিলেন। সেই হোটেলের বিল মেটান বাবা। এমনকি ছেলেকে নতুন মোবাইল কিনে দিয়েছিলেন ধৃত রাঘবেন্দ্র। ইতিমধ্যে আর্থিক লেনদেন সংক্রান্ত বেশ কিছু নথি তদন্তকারীদের হাতে আসে। তাতেই রাঘবেন্দ্রর উপর সন্দেহ বাড়ে পুলিশের। শেষ পর্যন্ত রাঘবেন্দ্রকে গ্রেফতার করতে রাজস্থান যান তদন্তকারীরা। অভিযোগ, রাঘবেন্দ্রকে গ্রেফতারে বাধা দেয় বিএসএফ। যদিও জটিলতা কাটিয়ে শেষে পর্যন্ত রাঘবেন্দ্রকে গ্রেফতার করে পুলিশ। তদন্তকারীদের দাবি, রাঘবেন্দ্রকে জেরা করে ঈশিতা খুনের কিনারা সম্ভব হবে।