নেপালে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম নিষিদ্ধের সিদ্ধান্ত ঘিরে কাঠমান্ডুতে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। রবিবার প্রতিবাদকারীদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষে অন্তত ৬ জন নিহত ও ৪২ জন আহত হয়েছেন। পরিস্থিতি সামাল দিতে সেনা মোতায়েন ও শহরের গুরুত্বপূর্ণ এলাকায় কারফিউ জারি করা হয়েছে।
সরকারি সিদ্ধান্তে ফেসবুক, ইউটিউব ও এক্স (পূর্বতন টুইটার)-সহ অধিকাংশ প্ল্যাটফর্ম বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। টিকটক, ভাইবারসহ কয়েকটি অ্যাপ কর্তৃপক্ষের নির্দেশ মেনে রেজিস্ট্রি করায় তারা চালু থাকছে। সরকারের দাবি, ভুয়ো আইডি ব্যবহার করে ঘৃণাবার্তা, ভুয়ো তথ্য ছড়ানো, প্রতারণা ও অপরাধ বেড়েছে বলেই এই পদক্ষেপ।
রবিবার হাজার হাজার মানুষ রাস্তায় নেমে সংসদ ভবন ঘিরে ফেলে। কাঁটাতার পেরিয়ে এগিয়ে গেলে পুলিশ প্রথমে পিছু হটে, পরে টিয়ার গ্যাস ও জলকামান ছোড়ে। প্রেসিডেন্ট ভবন, সংসদ ভবন ও সচিবালয়ের আশপাশে কারফিউ জারি করা হয়েছে।
প্রতিবাদকারীরা ব্যানারে লিখেছেন, “দুর্নীতি বন্ধ করো, সোশ্যাল মিডিয়া নয়” এবং “যুব সমাজ দুর্নীতির বিরুদ্ধে”।
কাঠমান্ডু জেলা প্রশাসনের মুখপাত্র মুক্তিরাম রিজাল জানিয়েছেন, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে নিরাপত্তা বাহিনীকে জলকামান, লাঠিচার্জ ও রাবার বুলেট ব্যবহারের অনুমতি দেওয়া হয়েছে।
নেপাল সরকার ইতিমধ্যেই সংসদে একটি বিল এনেছে, যাতে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমকে “দায়িত্বশীল ও জবাবদিহিমূলক” করার বিধান রাখা হয়েছে।