গত ইংল্যান্ড সফরেও দলে ছিলেন কুলদীপ যাদব। কিন্তু একটি টেস্টেও সুযোগ দেওয়া হয়নি তাঁকে। সুযোগ পেতেই ভারতের বাঁহাতি চায়নাম্যান দেখিয়ে দিলেন, কেন তাঁকে ছাড়া সীমিত ওভারের দল গঠন করা অসম্ভব। এশিয়া কাপের প্রথম ম্যাচে কুলদীপের বিষাক্ত স্পিনেই ছারখার হয়ে গেল আয়োজক সংযুক্ত আরব আমিরশাহি। মাত্র ৭ রান দিয়ে ৪ উইকেট তুলে নিলেন ভারতীয় স্পিনার।
টসে হেরে প্রথমে ব্যাট করতে নেমে ৫৭ রানেই শেষ আয়োজকরা। যা ভারতের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে কোনও দলের সর্বনিম্ন স্কোর। এই রেকর্ড গড়ার পথে কুলদীপ ছাড়াও ৩ উইকেট নিয়েছেন শিবম দুবে। কিন্তু কার্যত কুলদীপই একা শেষ করে দেন মরুদেশের দলকে। তাঁর মাত্র ১৩ বলের স্পেলে কার্যত কোনও দিশাই খুঁজে পাননি বিপক্ষের ব্যাটাররা।
এশিয়া কাপের দলে থাকলেও বুমরাহ সব ম্যাচ খেলবেন কি না, সে প্রশ্ন ছিল সকলেরই মনে। তবে অনুরাগীদের কার্যত কিছুটা অবাক করেই এ দিন সংযুক্ত আরব আমিরশাহির বিরুদ্ধে নামলেন তিনি। ৩ ওভারে ১৯ রান খরচ করে একটি উইকেটও পেয়েছেন। এ ছাড়া দুই স্পিনার বরুণ চক্রবর্তী এবং অক্ষর প্যাটেলও একটি করে উইকেট ঝুলিতে পুরেছেন।
৫৮ তাড়া করতে নেমে ইনিংসের প্রথম দুই বলেই ছক্কা এবং চার মারেন অভিষেক শর্মা। কিন্তু সবাইকে ছাপিয়ে বুধবাসরীয় সন্ধ্যায় এক এবং অদ্বিতীয় নায়ক সেই কুলদীপই।
বিলেতের মাটিতে রিজার্ভ বেঞ্চে বসিয়ে রাখা হয়েছিল কুলদীপকে। এদিন যেন সেই বঞ্চনারই জবাব দিতে নেমেছিলেন গম্ভীর এন্ড কোংকে। যেভাবে জবাবটা দিলেন তাতে শুধু সংযুক্ত আরব আমিরশাহির মতো নগণ্য দল নয়, কাঁপতে বাধ্য পাকিস্তানও। আগামী রবিবারই যাদের মুখোমুখি হতে চলেছে মেন ইন ব্লু। সেই ম্যাচের আগে দুবাইয়ের উইকেটে বল টার্ন করানোর যে নমুনা লেখালেন কুলদীপ যাদব তা দেখে সলমন আঘাদের চিন্তা বাড়বে বৈ কমবে না।
সংযুক্ত আরব আমিরশাহির হয়ে ৬ নম্বরে নামা হর্ষিত কৌশিককে বোল্ড করেন কুলদীপ। বিশেষ করে এই বলটি যেভাবে তিনি ব্যাট এবং প্যাডের ফাঁক দিয়ে গলিয়ে বোকা বানালেন ব্যাটারকে, কার্যত সেই দৃশ্যই যেন ধ্রুবক হয়ে রইল ভারতের বোলিং শক্তির। কুলদীপ দেখিয়ে দিলেন, ফিরে যদি আসতেই হয়, আসতে হয় এভাবেই। কার্যত তাঁর দাপটেই বিনা উইকেটে ২৬ থেকে পরবর্তী ৩১ রানেই গুটিয়ে যায় এশিয়া কাপের আয়োজক দেশ। জবাবে মাত্র ৪.৩ ওভারেই ৯ উইকেটের এক বিশাল জয় ছিনিয়ে নিলেন সূর্যকুমার যাদবরা। বেঁধে দিলেন টুর্নামেন্টের টোন।