কলকাতা ফুটবল লিগে চ্যাম্পিয়ন হওয়ার লক্ষ্যে জয় দিয়ে সুপার সিক্সের অভিযান শুরু করল ইস্টবেঙ্গল এফসি এবং ডায়মন্ড হারবার এফসি। বৃহস্পতিবার ইস্টবেঙ্গল তাদের নিজেদের মাঠে ৩-০ গোলে হারিয়েছে ইউনাইটেড কলকাতা স্পোর্টিং ক্লাবকে। অন্যদিকে, নৈহাটি স্টেডিয়ামে ডায়মন্ড হারবার ৪-০ গোলে হারায় সুরুচি সঙ্ঘকে। ইস্টবেঙ্গলের গোলদাতা নসিব রহমান, পি ভি বিষ্ণু এবং ভানলালপেকা গুইতে। ডায়মন্ড হারবারের হয়ে গোল করেছেন শৈবোরলাং খার্পন, আকিব নবাব(২) এবং অমরনাথ বাসক।
সিএফএল প্রিমিয়ারে চ্যাম্পিয়ন দলকে এবার বাছা হবে সুপার সিক্সের তিন ম্যাচ থেকে ৷ তাই প্রতিটি ম্যাচই অংশ নেওয়া ৬ দলের কাছে একরকম নকআউট পর্যায়ের ৷ প্রথম ম্যাচে সরাসরি জিতে মূল্যবান ৩ পয়েন্ট করে সংগ্রহ করে নিয়েছে ইস্টবেঙ্গল এবং ডায়মন্ড হারবার। আগামী রবিবার ১৪ সেপ্টেম্বর যাদবপুরের কিশোর ভারতী স্টেডিয়ামে মুখোমুখি হবে এই দুই দল।
সেদিক থেকে দেখতে গেলে, রবিবারের ম্যাচটি দু-দলের কাছেই কার্যত লিগ চ্যাম্পিয়নশিপের লড়াই। প্রসঙ্গত গত বছরও কলকাতা লিগের প্রিমিয়ারে প্রথম স্থানের জন্য লড়াই ছিল মূলত ইস্টবেঙ্গল ও ডায়মন্ড হারবার এফসির মধ্যে। যদিও গতবারের লিগ চ্যাম্পিয়ন কে হয়েছে, তা এখনও ঘোষণা করা হয়নি।
বৃহস্পতিবার ঘরের মাঠে রীতিমতো দাপটে জয় তুলে নিয়েছে বিনো জর্জের লাল-হলুদ ব্রিগেড। ইয়ান ল-র ইউনাইটেড কলকাতাকে দুই অর্ধেই চাপে রেখে বড় ব্যবধানে জিতেছে। চোট আঘাত এবং কার্ড সমস্যায় পুরো শক্তির দল নামাতে পারেননি বিনো জর্জ। গোড়ালিতে চোটের কারণে ছিলেন না সৌভিক চক্রবর্তী। দেবজিৎ মজুমদার ও সায়ন বন্দ্যোপাধ্যায়ের ছিল কার্ড সমস্যা। সুমন দেও পুরোপুরি ফিট ছিলেন না। তবে তাঁদের পরিবর্ত হিসেবে যাঁরা নেমেছেন তাঁরা সদস্য সমর্থকদের মুখে হাসি ফুটিয়েছেন।
প্রথমার্ধের ইনজুরি টাইমে আমন সিকের ভাসানো বল থেকে গোল করেছেন নসিব রহমান। বিরতির পর ম্যাচের ৪৮ মিনিটে ফ্রিকিক থেকে দুরন্ত গোল পি ভি বিষ্ণুর। ৬৯ মিনিটে গুইতের গোলে ৩-০ গোলে এগিয়ে যায় মশাল বাহিনী। বাকি সময়ে আর কোনও গোল হয়নি। শেষ পর্যন্ত ৩-০ গোলে জিতে মাঠ ছেড়েছেন বিনো জর্জের ফুটবলাররা।
অন্যদিকে নৈহাটিতে ১৬ মিনিটে ডায়মন্ড হারবারকে এগিয়ে দেন শৈবোরলাং খার্পন। ৩৭ এবং ৪০ মিনিটে আরও দু’টি গোল করেন আকিব নবাব। ৭০ মিনিটে অমরনাথ বাসকের জয়সূচক গোলে ব্যবধান ৪-০ করেছে ডায়মন্ড হারবার।
এদিকে সিএফএল প্রিমিয়ারের অবনমন পর্বের ম্যাচে মহমেডান স্পোর্টিং ক্লাবের বিরুদ্ধে দলই নামায়নি সাদার্ন সমিতি। ব্যারাকপুর স্টেডিয়ামে ছিল দু দলের খেলা। প্রতিপক্ষ মাঠে না নামায় দুঃশ্চিন্তা কিছুটা হলেও কমেছে ময়দানের শতাব্দী প্রাচীন তৃতীয় প্রধান ক্লাবটির। যদিও ম্যাচের চূড়ান্ত ভাগ্য নির্ধারিত হবে আইএফএ-র লিগ সাবকমিটির বৈঠকে।