গোটা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রেই যে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবস্থা ভাল নয় তা কিছুদিন আগেই আইনসভার রিপাবলিকান প্রতিনিধিদের সঙ্গে নৈশভোজে আলোচনা করেছিলেন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প। তিনি দ্বিতীয়বার ক্ষমতায় এসেই এর বিরুদ্ধে উপযুক্ত ব্যবস্থা নিয়েছেন বলে দাবি করলেও ঘটে গেছে চার্লি কার্কের নৃশংস হত্যাকাণ্ড। ইউটা ভ্যালি বিশ্ববিদ্যালয়ে এক হামলায় গুলিবিদ্ধ হয়ে মৃত্যু হয় কার্কের। যদিও ট্রাম্প একে রাজনৈতিক সন্ত্রাস বলে অভিহিত করে এর জন্য সরাসরি ‘চরম বামপন্থী’দের উস্কানিকে দায়ী করেছেন। ঘনিষ্ঠ সহকর্মী চার্লি কার্ককে ‘সত্যের শহিদ’ বলে আখ্যা দিয়ে গভীর শোক প্রকাশ করে অবিলম্বে এসব বন্ধ করার হুঁশিয়ারি দেন।
বুধবার বিশ্ববিদ্যালয়ে এক অনুষ্ঠানে বক্তব্য পেশের সময় চার্লিকে লক্ষ করে গুলি চালানো হয়। গুলিটি তাঁর ঘাড়ে এসে লাগে। পরে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান। স্থানীয় প্রশাসন এ ঘটনাকে ‘রাজনৈতিক হত্যাকাণ্ড’ বলে উল্লেখ করেছে। চার্লি কার্ক ছিলেন ডোনাল্ড ট্রাম্পের একজন প্রচারক। দ্বিতীয়বারের জন্য প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হওয়ার পর ডোনাল্ড ট্রাম্প চার্লিকে তরুণ ও সংখ্যালঘু ভোটারদের সমর্থন আদায়ের কৃতিত্ব দিয়েছিলেন।
নিজের সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম ট্রুথ সোশ্যাল-এ পোস্ট করা এক ভিডিয়ো বার্তায় ট্রাম্প বলেন, “বছরের পর বছর ধরে চরম বামপন্থীরা চার্লির মতো অসাধারণ আমেরিকানদের নাৎসি এবং বিশ্বের ভয়ঙ্করতম হত্যাকারী ও অপরাধীদের সঙ্গে তুলনা করেছে।” তিনি এই হত্যাকাণ্ডকে আমেরিকার জন্য একটি ‘ঘৃণ্য’ এবং ‘অন্ধকার’ সময় বলে বর্ণনা করেন। ট্রাম্পের অভিযোগ, চরম বাম রাজনীতি ও হিংসা বহু নিরপরাধ মানুষের ক্ষতি করেছে এবং অনেক প্রাণ কেড়ে নিয়েছে। ট্রাম্প আরও বলেন, “আজ এই ঘৃণ্য হত্যাকাণ্ডের পর চার্লির কণ্ঠস্বর আরও শক্তিশালী ও প্রবল হয়ে উঠেছে।”
এরপরই ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রতিশ্রুতি দেন, তাঁর প্রশাসন এই হত্যাকাণ্ড এবং অন্যান্য রাজনৈতিক হিংসার সঙ্গে যুক্ত প্রত্যেককে খুঁজে বের করবে। এ ঘটনায় ‘উগ্র বামপন্থীদের’ দুষছেন ট্রাম্প। এসব কাজে যারা অর্থ জোগায়, সমর্থন করে, বিচারক, আইনপ্রয়োগকারী এবং দেশের শৃঙ্খলা রক্ষাকারীদের নিশানা করে তাদেরও নজরে আনার কথা জোর দিয়ে বলেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট।