কিন্তু কী এমন কারণ যার জন্য সহপাঠীকে শেষ করে দিতেও কাঁপল না হাত! এখন সেই প্রশ্নের উত্তর খোঁজার চেষ্টা চালাচ্ছেন তদন্তকারীরা। দক্ষিণেশ্বর মেট্রো স্টেশনে স্কুল ছাত্র খুনে উঠে আসছে একের পর এক চাঞ্চল্যকর তথ্য।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, নিহত ছাত্রের নাম মনোজিত যাদব (১৭)। সে বাগবাজার হাই স্কুলের একাদশ শ্রেণির ছাত্র। অনুমান করা হচ্ছে, শ্যামবাজার থেকে মেট্রোয় দক্ষিণেশ্বরে নেমেছিল এই ছাত্র। তারপরেই এই ঘটনা। প্রত্যক্ষদর্শীদের বর্ণনা অনুযায়ী, দুপুর নাগাদ দক্ষিণেশ্বর স্টেশনের ৬, ৭, ৮ নম্বর টিকিট কাউন্টারের সামনে কয়েকজন স্কুল ছাত্র দাঁড়িয়ে নিজেদের মধ্যে কথা বলছিল। হঠাৎ তাদের মধ্যে বচসা বাঁধে। সেই বচসা হাতাহাতিতে পরিণত হতেই এক ছাত্র ব্যাগ থেকে ধারালো অস্ত্র বের করে মনোজিতের বুকে আঘাত করে। গুরুতর আহত অবস্থায় মাটিতে লুটিয়ে পড়ে ওই ছাত্র। সঙ্গে সঙ্গে আতঙ্কে সবাই এদিক-ওদিক ছুটতে শুরু করে। রক্তাক্ত অবস্থায় মনোজিতকে উদ্ধার করে বরানগর স্টেট জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। মৃত্যু হয়েছে ওই ছাত্রের। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় দক্ষিণেশ্বর থানার পুলিশ। উপস্থিত হন ব্যারাকপুর পুলিশ কমিশনারেটের ডিসিপি (সাউথ জোন) অনুপম সিংও। সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলে জানিয়েছে পুলিশ। ইতিমধ্যেই সন্দেহভাজন তিনজনকে আটক করা হয়েছে।
একজন রেল কর্মচারী প্রত্যক্ষদর্শী হিসেবে জানান, “কয়েকজন যুবক অনেকক্ষণ নিজেদের মধ্যে কথা বলছিল। হঠাৎ ছুরি চালায়।”
স্কুলের পোশাকে থাকা ছাত্রদের কাছে ছুরি থাকা থেকেই মনে হচ্ছে ঘটনাটি পূর্ব পরিকল্পিত। এই ঘটনার পেছনে আসল কারণ কী, তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ। ছাত্রের মৃত্যুতে এলাকায় নেমেছে শোকের ছায়া। তবে কী কারণে বন্ধুর হাতে এভাবে খুন হতে হল ছাত্রকে তা বুঝে উঠতে পারছেন না কেউই।
পুলিশের অনুমান ফিরতি পথে মেট্রোর মধ্যেই কিছু নিয়ে ঝামেলা হয়। তার রেশ ধরেই মেট্রো স্টেশনে এমন ভয়াবহ ঘটনা।
সূত্রে খবর দুই যুবক মনোজিতকে আনতে গিয়েছিলাম মেট্রো স্টেশনে। রাহুল মাঝে মধ্যেই মনোজিতকে আনতে যেত দক্ষিণেশ্বর স্টেশনে বলে জানা গিয়েছে। পুলিশ ঘটনার নানা দিক খতিয়ে দেখছে।
