মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে কনজারভেটিভ কর্মী চার্লি কার্কের হত্যাকাণ্ড নিয়ে নতুন তথ্য প্রকাশ তদন্তকারীদের। শুক্রবার (মার্কিন সময় অনুযায়ী বৃহস্পতিবার) সন্দেহভাজন দুষ্কৃতীর নতুন ছবি ও ভিডিয়ো ফুটেজ প্রকাশ করল তদন্তকারীরা। একই সঙ্গে ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধার করা হয়েছে সেই রাইফেল, যেটি দিয়ে গুলি চালানো হয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে।
তদন্তকারীরা জানিয়েছেন, সিসিটিভি ফুটেজে দেখা গেছে একজন লোক ভবনের সিঁড়ি বেয়ে ছাদে উঠে যায়। সেখান থেকে পরপর গুলি চালায়, এরপর দৌড়ে ছাদ থেকে লাফ দিয়ে পালিয়ে যায়। পরে তাকে রাস্তায় দৌড়ে রাস্তা পার হয়ে জঙ্গলের ভেতরে ঢুকতে দেখা যায়। ওই এলাকাতেই পরে পুলিশ একটি “হাই-পাওয়ার্ড বোল্ট-অ্যাকশন” রাইফেল উদ্ধার করে। ভবনের ভেতর দুষ্কৃতীর হাতের ছাপ এবং ডিএনএ প্রমাণও মিলেছে।
এফবিআই ঘোষণা করেছে, যে কেউ এই হত্যাকারীর খোঁজ দিতে পারলে তাকে ১ লক্ষ মার্কিন ডলার পুরস্কার দেওয়া হবে। তারা সন্দেহভাজনের ছবি প্রকাশ করেছে। তাতে দেখা যাচ্ছে, সে কালো ফুলহাতা পোশাক পরেছে, যার উপর মার্কিন পতাকা ও বল্ড ঈগলের ছবি ছিল। তার চোখে কালো সানগ্লাস, মাথায় কালো টুপি, পিঠে ব্যাগপ্যাক এবং পায়ে কনভার্স জুতো। পরে উটাহ কর্তৃপক্ষ আরও পরিষ্কার ছবি প্রকাশ করে, যেখানে তার পোশাক ও ব্যাগপ্যাকের ছবি আরোও ভালো করে দেখা গেছে।
এখনও পর্যন্ত ওই দুষ্কৃতীর পরিচয় বা খুনের উদ্দেশ্য নিশ্চিত করেননি তদন্তকারীরা। তবে এই ঘটনাকে “নৃশংস হত্যা” বলে উল্লেখ করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। তিনি বলেছেন, খুনির উদ্দেশ্য সম্পর্কে কিছু ধারণা আছে, তবে এখনই তা প্রকাশ করা যাচ্ছে না। তিনি আরও জানান, এই মামলায় “বড় অগ্রগতি” করছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।
উটাহর গভর্নর স্পেনসার কক্স জনগণের সহযোগিতা চেয়েছেন। তিনি জানান, তদন্তকারীরা এখন পর্যন্ত ৭ হাজারের বেশি সূত্র পেয়েছেন এবং ২০০টিরও বেশি সাক্ষাৎকার নিয়েছেন। কক্স বলেন, “জনগণের সাহায্য ছাড়া আমরা আমাদের কাজ শেষ করতে পারব না।” এফবিআই পরিচালক কাশ প্যাটেলও উটাহতে গিয়ে রাজ্য ও ফেডারেল কর্মকর্তাদের সঙ্গে ব্রিফিংয়ে উপস্থিত ছিলেন, যদিও তিনি কিছু বলেননি।
চার্লি কার্ক হত্যাকাণ্ডকে ঘিরে যুক্তরাষ্ট্রে নতুন করে রাজনৈতিক উত্তেজনা তৈরি হয়েছে। খুনির রাজনৈতিক মতাদর্শ নিয়ে নানা জল্পনা-কল্পনাও চলছে, যা দেশটিতে রাজনৈতিক সহিংসতা নিয়ে নতুন উদ্বেগ সৃষ্টি করেছে।
