প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির প্রায় দুই বছর পর মণিপুর সফরকে কেন্দ্র করে কংগ্রেস কড়া সমালোচনা করেছে। দলীয় সাধারণ সম্পাদক প্রিয়াঙ্কা গান্ধী ভদ্রা শনিবার কেরলের ওয়ানাড়ে সাংবাদিকদের বলেন, “ভালো লাগছে যে তিনি দুই বছর পর মনে করেছেন মণিপুরে যাওয়া জরুরি। কিন্তু অনেক আগেই তাঁর যাওয়া উচিত ছিল।”
তিনি আরও বলেন, “এতদিন ধরে তিনি সংঘর্ষের পরিস্থিতি চলতে দিয়েছেন, বহু মানুষ মারা গেছেন, হাজারো মানুষ ভয়ঙ্কর কষ্টের মধ্যে রয়েছেন। স্বাধীনতার পর থেকে ভারতের যিনিই প্রধানমন্ত্রীই থাকুন না কেন, যেখানে কষ্ট, সেখানে তাঁরা গেছেন। এই প্রথা দু’বছর পর পূরণ করছেন তিনি, কিন্তু আরও আগে করা উচিত ছিল।”
কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়গেও প্রধানমন্ত্রীর মণিপুর সফরকে “ছলচাতুরি, লোক দেখানো এবং আহত মানুষের প্রতি অবমাননা” বলে আখ্যা দেন। তিনি বলেন, “মাত্র তিন ঘণ্টার সফর আসলে মণিপুরবাসীর যন্ত্রণার প্রতি কোনও সহানুভূতি নয়।”
এক্স-এ খাড়গে লিখেছেন, “৮৬৪ দিনের একটানা সংঘর্ষে প্রায় ৩০০ জন নিহত, ৬৭ হাজার মানুষ বাস্তুচ্যুত, ১,৫০০ জন আহত। এর মধ্যে আপনি ৪৬ বার বিদেশ সফর করেছেন, অথচ নাগরিকদের সঙ্গে দু’টি সহানুভূতির শব্দ ভাগ করতে একবারও আসেননি। আপনার শেষ সফর? জানুয়ারি ২০২২— নির্বাচনের সময়! আপনার ডাবল ইঞ্জিন সরকার নিরপরাধ মানুষের জীবনকে ধ্বংস করেছে।”
তিনি কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহকেও আক্রমণ করে বলেন, প্রধানমন্ত্রী ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর “গুরুতর অযোগ্যতা ও জড়িত থাকার বিষয়টি” রাষ্ট্রপতি শাসন চাপিয়ে দিয়ে আড়াল করা হয়েছে।
অন্যদিকে, তিন দিনের রাজ্য সফরে প্রধানমন্ত্রী মোদি মিজোরাম, মণিপুর, অসম, পশ্চিমবঙ্গ ও বিহার ঘুরবেন।
শনিবার দুপুরে চুরাচাঁদপুরে তিনি ৭,৩০০ কোটি টাকারও বেশি মূল্যের প্রকল্পের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেছেন। এর মধ্যে রয়েছে— মণিপুর আরবান রোডস, ড্রেনেজ ও সম্পদ ব্যবস্থাপনা প্রকল্প (৩,৬০০ কোটি), পাঁচটি জাতীয় সড়ক প্রকল্প (২,৫০০ কোটির বেশি), মণিপুর ইনফোটেক ডেভেলপমেন্ট (MIND) প্রকল্প এবং নয়টি স্থানে কর্মজীবী মহিলাদের হোস্টেল।
এরপর তিনি ইম্ফলে ১,২০০ কোটি টাকার বেশি উন্নয়নমূলক প্রকল্প উদ্বোধন করেন এবং একটি জনসভায় ভাষণ দেন।