রবিবারের ভারত-পাক ম্যাচ বয়কটের পথে হাঁটতে চলেছে বিসিসিআই। হ্যাঁ খোদ ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডই আসন্ন মহারণ বয়কটের পরিকল্পনা করেছে। তবে এটি হবে কার্যত ‘অদৃশ্য’ বয়কট। হ্যাঁ, এমনই জানা গিয়েছে এক সর্বভারতীয় সংবাদ মাধ্যমের প্রতিবেদনে। যেখানে বলা হয়েছে, পহেলগাঁও কান্ড এবং অপারেশন সিঁদুরের পরিপ্রেক্ষিতে সারা দেশ জুড়ে পাকিস্তানকে বয়কটের যে ডাক উঠেছে তার কারণেই রবিবাসরীয় দ্বৈরথ অদৃশ্যভাবে বয়কট করতে চলেছে বোর্ড।
কী এই অদৃশ্য বয়কট?
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, প্রতিযোগিতার আয়োজক হওয়া সত্ত্বেও বিসিসিআইয়ের অধিকাংশ আধিকারিক রবিবারের ভারত-পাক ম্যাচ দেখতে আসছেন না দুবাইয়ে। এখনও পর্যন্ত বোর্ডের কোনও কর্মকর্তাই দুবাইয়ে এসে পৌঁছননি। এরপর রবিবার ম্যাচের সময় মাত্র একজন আধিকারিক দুবাইয়ের স্টেডিয়ামে উপস্থিত থাকতে পারেন বলে শোনা যাচ্ছে। যেখানে গত চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির সময় ছবিটা ছিল একেবারেই উল্টো।
চলতি বছরের শুরুতে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির ম্যাচে দুবাইয়েই মুখোমুখি হয়েছিল ভারত এবং পাকিস্তান। সেই ম্যাচে বিসিসিআইয়ের সমস্ত শীর্ষ পদাধিকারী এবং একাধিক রাজ্য ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশনের প্রতিনিধি উপস্থিত ছিলেন। পাশাপাশি হাজির হয়েছিলেন দলে না থাকা ক্রিকেটাররাও। কিন্তু এবার এই ম্যাচকে ঘিরে দেশজুড়ে চলা বয়কট আন্দোলনের কারণে বিসিসিআইয়ের সিংহভাগ কর্তাব্যক্তি এই ম্যাচ থেকে দূরত্ব বজায় রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। এভাবেই অদৃশ্যভাবে ম্যাচটি বয়কটের পরিকল্পনা রয়েছে তাঁদের।
সাম্প্রতিক ফর্মের নিরিখে রবিবার চিরপ্রতিদ্বন্দ্বীদের বিরুদ্ধে ফেভারিট হিসেবেই নামবে মেন ইন ব্লু। উক্ত প্রতিবেদন অনুসারে, এই ম্যাচ চলাকালীন বিসিসিআইয়ের একমাত্র প্রতিনিধি হিসেবে মাঠে উপস্থিত থাকতে পারেন বর্তমানে অন্তর্বর্তীকালীন সভাপতির দায়িত্বে থাকা রাজীব শুক্ল। কারণ, তিনি এশীয় ক্রিকেট কাউন্সিলের-ও সদস্য। এ ছাড়া আন্তর্জাতিক ক্রিকেট সর্বোচ্চ নিয়ামক সংস্থা আইসিসির চেয়ারম্যান জয় শাহ কিংবা বিসিসিআই সচিব দেবজিৎ সাইকিয়া’র ম্যাচে উপস্থিত থাকার সম্ভাবনা অত্যন্ত ক্ষীণ।