যারা এক সময় গোটা পৃথিবীর বিভিন্ন জায়গায় থেকে, আয়েস করে, লুটেপুটে দিন কাঠিয়েছে যারা, এবার তারাই সরব হল ভিনদেশী মানুষদের বিরুদ্ধে।সোজা কথায় ইংরেজরা আওয়াজ তুলল সেদেশে থাকা ইমিগ্র্যান্ট বা অভিবাসীদের বিরুদ্ধে। টমি রবিনসনের ডাকে অভিবাসনবিরোধী আন্দোলনের সবচেয়ে বড় বিক্ষোভে কেঁপে উঠল লন্ডন।
তবে এই বিশাল মিছিল একদিনে হয় নি।অভিবাসন ইস্যু বর্তমানে ব্রিটেনে বড় সমস্যা।তা দেশের অর্থনৈতিক সংকটকে ছাপিয়ে রাজনৈতিক আলোচনায় প্রধান স্থান দখল করেছে।অভিযোগ, চলতি বছরই ইংলিশ চ্যানেল পেরিয়ে ছোট নৌকায় বিভিন্ন দেশ থেকে ২৮ হাজারের বেশি অভিবাসী যুক্তরাজ্যে পৌঁছেছেন।এর বিরুদ্ধে প্রতিবাদে সারা দেশে লাল-সাদা ইংল্যান্ডের পতাকা রাস্তায় টাঙানো হচ্ছে। সমর্থকেরা একে জাতীয় গর্বের প্রতীক বলে বর্ণনা করলেও বর্ণবাদ বিরোধীরা একে বিদেশি বিদ্বেষের বার্তা বলে দাবি করছেন।
এমন পরিস্থিতির মধ্যেই কট্টর অভিবাসন বিরোধী কর্মী টমি রবিনসনের ডাকা ‘ইউনাইট দ্য কিংডম’ মার্চে যোগ দিয়েছেন প্রায় ১.১ লক্ষ মানুষ। তবে আকাশপথের ভিডিয়োতে দেখা গেছে,কয়েক কিলোমিটার জুড়ে রাস্তাঘাট ভরে গিয়েছে বিক্ষোভকারীতে।
রবিনসন এক্স-এ পোস্ট করে দাবি করেছেন, “আজ লন্ডনের রাস্তায় কোটি কোটি মানুষ নেমেছেন। যে কোনও মূলধারার মিডিয়া যদি এর চেয়ে কম দেখায়, তারা মিথ্যা বলছে।”
তবে শুধু ইমিগ্র্যান্ট বিরোধী মিছিল নয় এদিন ‘স্ট্যান্ড আপ টু রেসিজম’ স্লোগান দিয়ে পাল্টা বিক্ষোভে সামিল হয় হাজার পাঁচেক মানুষ।‘ইউনাইট দ্য কিংডম’ আন্দোলনকারীদের সঙ্গে তাদের সংঘর্ষ বেঁধে যাওয়ারও উপক্রম হলে কোনোমতে সামলায় পুলিশ। কয়েকজন পুলিশ আক্রান্ত হন এবং পরিস্থিতি সামাল দিতে অতিরিক্ত বাহিনী, সুরক্ষা সরঞ্জাম এবং ঘোড়সওয়ার পুলিশ মোতায়েন করা হয়।
অনেকেই একে কট্টর রক্ষণশীলদের সমাবেশ বলেছেন।উপস্থিত কর্মীরা সম্প্রতি নিহত আমেরিকান অতি ডানপন্থী চার্লি কার্কের প্রতি শ্রদ্ধাও জানান। যদিও টমি রবিনসন, যার প্রকৃত নাম স্টিফেন ইয়াক্সলি-লেনন, এই সমাবেশকে “মুক্ত মতপ্রকাশের উৎসব” বলে বর্ণনা করেছেন।
Leave a comment
Leave a comment