চিনের উপর এক ধাক্কায় ৫০-১০০ শতাংশ পর্যন্ত ট্যারিফ চাপানোর হুঁশিয়ারি দিলেও এই মুহূর্তে ভারত প্রসঙ্গে সুর নরম করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প।ভারত ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য চুক্তি নিয়ে কয়েক মাস ধরে চলা অচলাবস্থা কাটিয়ে মঙ্গলবার শুরু হতে চলেছে আলোচনার নতুন দফা।সোমবার রাতেই ভারতে আসছেন বাণিজ্যচুক্তি সংক্রান্ত মার্কিন প্রতিনিধিদলের প্রধান ব্রেন্ডন লিঞ্চ।মার্কিন বাণিজ্য দূত লিঞ্চের সঙ্গে আলোচনায় বসবেন ভারতের প্রধান আলোচক ও বাণিজ্য মন্ত্রকের বিশেষ সচিব রাজেশ আগরওয়াল।
মঙ্গলবারের বৈঠক হবে আসন্ন ষষ্ঠ দফা আলোচনার প্রস্তুতি বৈঠক, যা গত আগস্টে হওয়ার কথা ছিল। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের ভারতীয় রপ্তানিতে ৫০ শতাংশ শুল্ক চাপানোর পর অনির্দিষ্টকালের জন্য তা পিছিয়ে যায়।বাণিজ্যমন্ত্রী পীযূষ গয়াল সম্প্রতি জানিয়েছেন, নভেম্বরের মধ্যেই প্রথম ধাপের চুক্তি চূড়ান্ত হতে পারে। তিনি বলেন, “মার্চ থেকে আলোচনা খুব ভালো পরিবেশেই চলছে, অগ্রগতি হয়েছে এবং উভয় পক্ষই সন্তুষ্ট।”
রাশিয়া থেকে তেল কেনার জেরে মস্কোর বড় সহযোগী হিসেবে আখ্যা দিয়ে ভারতের উপর ৫০ শতাংশ পর্যন্ত শাস্তিমূলক শুল্ক চাপিয়ে দিয়েছেন ট্রাম্প। সম্প্রতি ট্রাম্প হঠাৎ সুর পাল্টে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে “মহান প্রধানমন্ত্রী” ও “প্রিয় বন্ধু” বলে উল্লেখ করেছেন। মোদিও দ্রুত প্রতিক্রিয়া জানিয়ে বলেছেন, ভারত ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র “স্বাভাবিক অংশীদার”, এবং অচিরেই দুই দেশের বাণিজ্য আলোচনা “অসীম সম্ভাবনার দ্বার” খুলে দেবে। অনেকে মনে করছেন ট্রাম্পের ৫০ শতাংশ শুল্কও ভারতের অবস্থান বদলাতে পারেনি। এর ফলে, মার্কিন প্রশাসনের কাছে ভারতের দিকে নরম সুরে ফেরার ছাড়া আর উপায় থাকেনি।
আমেরিকা অনায্য শুল্ক চাপালেও দিল্লি মনে করেছে ভারতীয় অর্থনীতিতে এর প্রভাব পড়বে না। কারণ রপ্তানি বাজার বহুমুখীকরণ করা হচ্ছে – যুক্তরাজ্য, ইউরোপ, জাপান ও পশ্চিম এশিয়ার দিকে নজর দেওয়া হচ্ছে।বাণিজ্য চুক্তি নিয়ে ভারত স্পষ্ট জানিয়েছে, কৃষি ও দুধের বাজারে কোনো ছাড় দেওয়া হবে না।পাশাপাশি সয়াবিন, আপেল, বাদাম, ইথানল ইত্যাদির শুল্ক কমানোর প্রস্তাবও বাতিল করা হয়েছে।
Leave a comment
Leave a comment