বেআইনি বেটিং অ্যাপ সংক্রান্ত মামলায় বাংলার সিনে তারকাদের একের পর এক নোটিশ দিয়েছে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট তথা ইডি। অঙ্কুশ হাজরার পর তলব করা হয়েছে মিমি চক্রবর্তীকেও। সোমবার দিল্লিতে ইডির দফতরে সশরীরে হাজিরাও দিয়েছেন যাদবপুর লোকসভা কেন্দ্রের প্রাক্তন তৃণমূল সাংসদ তথা অভিনেত্রী মিমি চক্রবর্তী।
কাকতালীয় ভাবে মিমি এবং অঙ্কুশ দুজনেই কিন্তু রয়েছেন মুক্তি পেতে চলা বাংলা সিনেমা রক্তবীজ ২ তে। শিবপ্রসাদ মুখার্জি এবং নন্দিতা রায় পরিচালিত অ্যাকশন থ্রিলার রক্তবীজ ২। প্রাক্তন তৃণমূল সাংসদকে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার তলবের সঙ্গে রাজনীতির কোনও যোগ নেই বলে দাবি করেছেন তৃণমূল কংগ্রেসের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ। তবে রসিকতার মোড়কে সোসাল মিডিয়াতেও একটি পোস্ট করেছেন তৃণমূল কংগ্রেসের মুখপাত্র।
নিজের ফেসবুক পেজে কুণাল লিখেছেন, ”মিমিকে ইডির নোটিস। আইন আইনের পথে চলবে। নোটিস নিয়ে আমি বলার কেউ নই। তবে রক্তবীজ 2 ছবির প্রমোশনে সাহায্য করার জন্য বাংলা ছবির দর্শকের তরফ থেকে এজেন্সিকে ধন্যবাদ। শিবুরা তো ইভেন্টের জন্য নানা সংস্থাকে নামিয়েছে। কে জানে বাবা কার কী কৌশল! ছবি সুপারহিটের পর মিমিও ওদের ধন্যবাদ দেবে।”
প্রসঙ্গত গত সপ্তাহেই অবৈধ বেটিং অ্যাপ কাণ্ডে ইডি অঙ্কুশ হাজরাকে তলব করেছিল। আর তার পরই ইডি-র সমন পেয়ে দিল্লির সদর দফতরে হাজিরা দিয়েছেন মিমি চক্রবর্তী। অভিযোগ, ভারতে বেটিং এবং অনলাইন জুয়া নিষিদ্ধ হওয়া সত্ত্বেও 1xBet বেটিং অ্যাপ নামক একটি অ্যাপের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন মিমি চক্রবর্তী। সেখান থেকে পেয়েছেন আর্থিক সুবিধা। এই অ্যাপের প্রোমোশন করেছেন মিমি।
ইডি সূত্রে খবর, বেটিং অ্যাপের আড়ালে বিপুল অঙ্কের টাকার লেনদেন হয়েছে ৷ সেই লেনদেনের যোগসূত্র খুঁজতেই একে-একে সেলেবদের তলব করা হচ্ছে। জিজ্ঞাসাবাদের তালিকায় প্রাক্তন ক্রিকেটার সুরেশ রায়না এবং শিখর ধাওয়ান যেমন রয়েছেন তেমনি রয়েছে বেশকিছু দক্ষিণী অভিনেতা ও অভিনেত্রীও।
কেন্দ্রীয় সরকার টাকার বিনিময় অনলাইন গেমিং অ্যাপগুলিকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছে ৷ যেখান বলা হয়েছে, এই গেমিং অ্যাপগুলির মাধ্যমে টাকার লেনদেন করা যাবে না ৷ মূলত, অনলাইন গ্যাম্বলিং বা জুয়া বিরোধী আইনও লাগু করেছে কেন্দ্র৷ কেন্দ্রের সেই আইন প্রযোজ্য হতেই অনলাইন গেমিং অ্যাপের মাধ্যমে কোটি-কোটি টাকার প্রতারণা মামলার তদন্ত করছে ইডি।