এশিয়া কাপ ক্রিকেটে ‘হ্যান্ডশেক বিতর্ক’-এ বরখাস্ত হলেন পাকিস্তানের আন্তর্জাতিক ক্রিকেট অপারেশন্সের ডিরেক্টর(Director of International Cricket Operations) উসমান ওয়াহলা।
পাক মিডিয়ার রিপোর্ট অনুসারে, মহসিন নকভির নেতৃত্বাধীন পিসিবি, তাঁর বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক পদক্ষেপ করেছে। কারণ সময়োপযোগী ব্যবস্থা নিতে ব্যর্থ হয়েছেন উসমান ওয়াহলা ।
পিসিবি তাদের Director of International Cricket Operations কে যেমন সরিয়েছে তেমনি এশিয়ান ক্রিকেট কাউন্সিলের মাধ্যমে ইন্টারন্যাশনাল ক্রিকেট কাউন্সিলেও হুমকি চিঠি পাঠিয়েছে। চিঠিতে লেখা হয়েছে, ম্যাচ রেফারি অ্যান্ডি পাইক্রফ্টকে না সরালে, সংযুক্ত আরব আমিরশাহি বিরুদ্ধে এশিয়া কাপের ম্যাচে দল নামাবে না পাকিস্তান। প্রসঙ্গত পাক-আমিরশাহি ম্যাচেও অ্যান্ডি পাইক্রফট রয়েছেন ম্যাচ রেফারির ভূমিকায়।
হ্যান্ডশেক বিতর্কে আইসিসি-র কাছে, আগেই ম্যাচ রেফারি পাইক্রফটের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ দাবি তুলেছে পিসিবি। কারণ ভারত-পাক ম্যাচে টসের সময় পাকিস্তানের অধিনায়ক সালমান আলী আগাকে করমর্দন এড়াতে বলেছিলেন ম্যাচ রেফারি পাইক্রাফট। যা থেকেই বিতর্কের সূত্রপাত।
গত রবিবারের এশিয়া কাপ ক্রিকেটে শুধু টসই নয়, ম্যাচ শেষেও সূর্যকুমারের ভারত করমর্দন এড়িয়েছে। দুটি ঘটনাই আইসিসির আচরণবিধি এবং এমসিসি আইন লঙ্ঘন। অভিযোগ পিসিবি কর্তা তথা এসিসির চেয়াম্যান মহসিন নকভির। যদিও জয় শাহের আইসিসি এই নিয়ে এখনও কিছু সিদ্ধান্ত জানায়নি। ফলে আমিরশাহি ম্যাচ না খেলার হুমকি দিয়েছে পিসিবি।
পিসিবি কর্তা তথা এসিসি-র চেয়াম্যান নকভি সোসাল মিডিয়ার এক্স হ্যান্ডেলে একটি পোস্টও করেছেন এই নিয়ে। লিখেছেন, “খেলায় রাজনীতি টেনে আনা, খেলাধুলার চেতনার বিরুদ্ধে। আশা করা যায়, ভবিষ্যতে হার-জিতের মুহূর্তগুলি সমানভাবে সবাই উদযাপন করবে।”
জয়ের জন্য প্রয়োজনীয় সংগ্রহ করে নিয়েই ভারত অধিনায়ক সূর্যকুমার যাদব প্রতিপক্ষের ক্রিকেটারদের সঙ্গে প্রচলিত করমর্দনের জন্য অপেক্ষা করেননি, বরং সতীর্থ শিবম দুবের সঙ্গে সোজা চলে যান ড্রেসিংরুমে। তাঁরা আম্পায়ারদের সঙ্গেও করমর্দন করেননি। পিসিবি কর্তা নকভির এক্স হ্যান্ডেলে পোস্ট ছিল এই প্রেক্ষিতেই।
এশিয়া কাপে ভারত-পাক ম্যাচ শেষে পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানও বয়কট করেছেন পাক অধিনায়ক সলমন আলি আঘা। ভারতের প্রাক্তন আন্তর্জাতিক ক্রিকেটার সঞ্জয় মাঞ্জরেকরের সঙ্গে টিভি সাক্ষাৎকারে যোগ দেননি তিনি। পাক ক্রিকেট দলের হেড কোচ মাইক হেসন এই পদক্ষেপকে “ফলো-অন প্রভাব” বলে বর্ণনা করেছেন।
হেসন বলেছেন,”প্রথামাফিক করমর্দনের জন্য ম্যাচ শেষে প্রস্তুত ছিলাম আমরা, কিন্তু আমাদের প্রতিপক্ষ তা করেনি বলে আমরা স্পষ্টতই হতাশ হয়েছি,”। বলেন, “আমরা করমর্দনের জন্য মাঠেও গিয়েছিলাম এবং তাঁরা(সূর্যকুমার-শিবম) তারমধ্যেই ড্রেসিং রুমে চলে গিয়েছিলেন।”
গত মে মাসেই পাকিস্তান ক্রিকেট দলের কোচের দায়িত্ব তুলে নিয়েছেন নিউজিল্যান্ডের প্রাক্তন ক্রিকেটার মাইক হেসন। হ্যান্ডশেক বিতর্ক ঘিরে তিনি আরও বলেছেন, ”ছেলেরা গোটা ম্যাচে যেভাবে খেলেছে তাতে আমরা বেশ হতাশ হয়েছি। তবে তা সত্ত্বেও আমরা কিন্তু করমর্দনের জন্য প্রস্তুত ছিলাম। জয়ী দল আমাদের সেই সুযোগ দেয়নি ”।