কয়েকদিন আগে মুম্বইতে একটি অনুষ্ঠানে দেখা গিয়েছিল মিস্টার পারফেকশনিস্ট তথা আমির খানকে। কিন্তু এ কী চেহারা হয়েছে তাঁর । বেশ মুটিয়ে গেছেন আর পাপরাৎজিদের ক্যামেরায় ধরা পড়বে না, এরকম তো হতে পারে না। মাথা থেকে পা পর্যন্ত মুখ হাত শরীর সব জায়গাতেই জমেছে মেদ। কিন্তু এর পেছনের কারণটা কী? নতুন কোনও ছবির জন্য কি আমির লুক চেঞ্জ করছেন না পেছনে লুকিয়ে আছে আরো বড় রহস্য?
অনেকদিন ধরেই শোনা যাচ্ছিল দাদা সাহেব ফালকের ওপর একটি বায়োপিক তৈরি হবে। এবং সেই বায়োপিকে কাজ করবেন আমির খান। সেই জন্যই নাকি নিজের এই ওজন বাড়াচ্ছিলেন। ভালো কথা। কিন্তু অনুষ্ঠানে এসে আমিরের গলায় যে সম্পূর্ণ অন্য সুর। তিনি জানালেন, তিনি অনেকদিন ধরে মাইগ্রেনে ভুগছেন আর মাইগ্রেনের সমস্যার জন্য তাঁকে রীতিমতো স্টেরয়েড নিতে হচ্ছে। এর ফলেই নাকি তিনি এরকম মোটা হয়েছেন তবে তাঁর পাশাপাশি ভক্তদের আশ্বাস দিয়ে জানাচ্ছেন খুব শীঘ্রই জিম আর ডায়েট করে আগের চেহারা আনবেন। সে পাইপলাইনে যে ছবি থাকুক না কেন চেহারাটাকে তো ফিট রাখতে হবে। জানালেন কয়ামত সে কয়ামত তক-এর রাজ।
কিন্তু মাইগ্রেনের জন্য স্টেরয়েড ?
হ্যাঁ অন্তত আমিরের গলায় এমনটাই শোনা গেল । আসলে স্টেরয়েড মানব শরীরের নানা রকম ক্ষতি করে যেমন খিদে বাড়িয়ে দেয়, রক্ত সঞ্চালনে সমস্যা করে , নানা রকম হরমোনাল পরিবর্তন হয়। আমিরের ক্ষেত্রেও ঠিক এমনটা হয়েছে কিনা জানা নেই তবে অভিনেতা নিজে জানাচ্ছেন মাইগ্রেনের যন্ত্রণায় তিনি এতটাই কষ্ট পাচ্ছিলেন যে বাধ্য হয়ে তাকে স্টেরয়েড ধরতে হয়েছে। চিকিৎসকরা অবশ্য বলছেন মাইগ্রেনের ট্রিটমেন্ট-এ স্টেরয়েডটি একমাত্র ওষুধ নয়। এটা স্বল্পকালীন ভিত্তিতে ব্যবহার করা গেলেও দীর্ঘকালীন ভিত্তিতে ব্যবহার করা যায় না। এছাড়া স্টেরয়েড-এর আরও কিছু পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া আছে সেই জন্য মাইগ্রেন কমাতে চিকিৎসকরা ট্রপিরামেড, ট্রিপটোফ্যান জাতীয় ওষুধের উপর বেশি ভরসা করেন।
তবে স্টেরয়েড থেকে হওয়া এইসব পার্শ্ব প্রতিক্রিয়ার হাত থেকে কিভাবে নিষ্কৃতি পাওয়া যাবে চিকিৎসকরা বলছেন এর জন্য নিয়মিত চিকিৎসকের তত্ত্বাবধানে থাকতে হবে। সঙ্গে রেগুলার এক্সারসাইজ অবশ্যই আপনার রোগের ধরন বুঝে ঠিকমতো ডায়েট মেনে চলা এবং রুটিন জীবনযাত্রায় অভ্যস্ত হতে হবে।