সোমবার গভীর রাতে প্রবল বৃষ্টির জেরে উত্তরাখণ্ডের দেরাদুনে ঘটে গেল মেঘভাঙা বৃষ্টি। এর ফলে তপোবন এলাকার বহু ঘরবাড়ি জলমগ্ন হয়ে পড়ে। সহস্ত্রধারা ও আইটি পার্ক এলাকা ডুবে গেছে। ঘটনায় দুজন নিখোঁজ বলে খবর।
মেঘভাঙা বৃষ্টির পর কার্লিগাড খালে হঠাৎ প্রবল বন্যা নেমে আসে। এর ফলে চারপাশে ব্যাপক ধ্বংসযজ্ঞ চলে। খালের ধার ভেঙে পড়ে বহু সম্পত্তি ক্ষতিগ্রস্ত হয়, এমনকি একটি গুরুত্বপূর্ণ সেতুও ভেঙে পড়ে। স্থানীয় মানুষদের নিরাপদ জায়গায় সরিয়ে নেওয়া হয়েছে।
উত্তরাখণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী পুষ্কর সিং ধামি সোশ্যাল মিডিয়া এক্স হ্যান্ডেলে জানিয়েছেন, সহস্ত্রধারায় বেশ কিছু দোকান ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। তিনি আশ্বস্ত করেছেন, নিজে প্রশাসনের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছেন এবং পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করছেন।
খবর পাওয়া মাত্র রাতেই জেলাশাসক স্যাভিন বনসাল, এসডিএম কুমকুম যোশী এবং প্রশাসনের অন্য আধিকারিকরা ঘটনাস্থলে পৌঁছে যান ও উদ্ধারকাজ তদারকি করেন। জেলাশাসক নিখোঁজ দুজনকে খুঁজে বের করতে উদ্ধারকারী দলকে বিশেষ নির্দেশ দেন। এনডিআরএফ, এসডিআরএফ ও পিডব্লিউডি’র কর্মীরা বুলডোজার নিয়ে উদ্ধারকাজ চালাচ্ছেন। জেলাশাসকের নির্দেশে দেরাদুনের সব স্কুল বন্ধের ঘোষণা করা হয়েছে।
এর আগে আগস্ট মাসে চামোলি জেলার দেওয়াল তহসিলের মোপাটা গ্রামে মেঘভাঙা বৃষ্টিতে দু’জন নিখোঁজ হন। সেখানে একটি বাড়ি ও গোয়ালঘর ভেঙে পড়ে, প্রায় ১৫-২০টি গবাদি পশু ধ্বংসস্তূপের নীচে চাপা পড়ে যায়।
এছাড়া গত ১১ সেপ্টেম্বর প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি নিজে দেরাদুনে এসে বন্যা পরিস্থিতি খতিয়ে দেখেন। তিনি উচ্চপর্যায়ের বৈঠক করেন এবং ক্ষতিগ্রস্ত এলাকার জন্য ১,২০০ কোটি টাকার আর্থিক সাহায্যের ঘোষণা করেন। মানুষের প্রাণ ও সম্পত্তির ক্ষতির এই ভয়াবহ পরিস্থিতিতে উদ্ধার ও ত্রাণ পৌঁছে দেওয়ার জন্য সর্বোচ্চ চেষ্টা চালাচ্ছে প্রশাসন।