পুজো তো এসে গেল! গড়িয়াহাটের ভিড় ঠেলে পুজোর বাজার করেন নাকি আপনি অনলাইন শপিং করতে ভালোবাসেন? পেমেন্ট করেন নগদে?
মাসের মধ্যে প্রায় দিনই অনলাইন শপিং করেন ? তাহলে কিন্তু আপনার ভাগ্যে ঝুলছে বড়সড় বিপর্যয় কেননা কয়েক দিন আগে ভ্লগার তিভিধা তুলি তাঁর একটি ইনস্টাগ্রাম রিলে তুলে ধরেছেন এই জালিয়াতির প্রসঙ্গ।
তিনি জানান, কিছুদিন আগে তাঁর বাড়িতে একটি পার্সেল আসে একজনের নামে কিন্তু তিনি জানান যে তিনি তা অর্ডার করেননি। ফলে ডেলিভারিম্যান ফিরে যায়। ঠিক পরের দিনই ওই একই পার্সেল আরেকজনের নামে আসে ওই একই বাড়িতে বাধ্য হয়ে তখন তিনি ওটা নেন কারণ তিনি ভুলে গিয়েছিলেন তিনি আদৌ অর্ডার করেছেন কিনা। কড়কড়ে ৭০০ টাকা বেরিয়ে যাওয়ার পর খেয়াল হল ভেতরের সমস্ত লেখাগুলি চিনা ভাষায় লেখা এবং কিউআর কোডটিও স্ক্যান করা যাচ্ছে না। বোঝাই যাচ্ছে ওই ব্যক্তি প্রতারিত হয়েছেন।
তুলি জানান অনলাইনে যারা নেট ব্যাংকিং-এর উপর ভরসা করেন না বাড়িতে জিনিস ডেলিভারি দিয়ে গেলে ক্যাশে পেমেন্ট করেন তাদের ক্ষেত্রে সমস্যা হয় সবচেয়ে বেশি। বিশেষ করে বাড়ির প্রবীণ ব্যক্তিদের ক্ষেত্রে, কারণ তাঁরা অত জটিলতা বোঝেন না এমনকী ডেলিভারি, ব্লু ডার্ট , একম এক্সপ্রেস ইত্যাদি নামে নামকরা ডেলিভারি সংস্থার নামে এসব প্রতারণাগুলি করা হচ্ছে। প্রতারকরা যেন তেন প্রকারণে ডেলিভারি ম্যান-এর কাছ থেকে একটি বাড়িতে কজন থাকেন, কে কে কী অর্ডার করছেন তা জেনে নেন। সেই বুঝে একটি বাক্স দিয়ে যান সাধারণত ডেলিভারিম্যান যতক্ষণ থাকে ততক্ষণ আমরা বাক্স খুলি না। চলে যাওয়ার পরে খুলে দেখি তাতে কী আছে আর ঠিক তখনই বোঝা যায় সমস্যাটা কোথায় । আসল ডেলিভারিম্যান-এর কাছ থেকে সমস্ত তথ্য হাতিয়ে নিয়ে নকল ডেলিভারিম্যানরা একটা খালি বক্স দিয়ে সমপরিমাণ টাকা নিয়ে চলে যান। প্রথমটা কেউ ধরতেই পারে না কিন্তু পরে যখন ব্যাপারটা জানাজানি হয় তখন হায় হায় রব ওঠে। সেজন্য তুলির পরামর্শ হল এরকম কোনও ডেলিভারিম্যানকে সন্দেহ হলে সঙ্গে সঙ্গে খবর দিতে হবে ওই ক্যুরিয়ারের অফিসে।
Leave a comment
Leave a comment