বুধবার ৭৫ বছরে পা দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। সেই উপলক্ষ্যে ক্রীড়া জগতের বেশ কয়েকজন নামজাদা ব্যক্তিত্ব জন্মদিনের শুভেচ্ছা জানালেন প্রধানমন্ত্রীকে। এই তালিকায় রয়েছেন ভারতের তিন কিংবদন্তি ওপেনার সুনীল গাভাসকর, বীরেন্দ্র সেহবাগ এবং অনিল কুম্বলে। এছাড়া প্যারিস অলিম্পিকে জোড়া পদকজয়ী শ্যুটার মনু ভাকের এবং টেনিসে ৬ বারের টেনিস গ্র্যান্ড স্ল্যাম বিজয়ী সানিয়া মির্জাও শুভেচ্ছা জানিয়েছেন মোদিকে। তাঁরা দুজনেই প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে অতীতের সাক্ষাতের অভিজ্ঞতা স্মরণ করে পোস্ট করেন এদিন।
গত ২০১৪ সাল থেকে ভারতের প্রধানমন্ত্রীর পদ অলংকৃত করছেন নরেন্দ্র মোদি। সামাজিক মাধ্যমে তাঁকে শুভেচ্ছা জানিয়ে লিটল মাস্টার নামে খ্যাত সানি লেখেন, “আমি প্রধানমন্ত্রী মোদির একটি দীর্ঘ, সুস্থ, উৎপাদনশীল জীবন কামনা করি। তাঁর নির্ধারিত লক্ষ্যের চেয়ে দ্রুতই বিকশিত ভারতের স্বপ্ন বাস্তবে পরিণত হবে।” অন্যদিকে বীরেন্দ্র সেহবাগ শুভেচ্ছা জানানোর পাশাপাশি তুলে ধরেছেন ভারতের ক্রীড়াক্ষেত্রে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে মোদির অবদানের কথা।
সেহবাগের কথায়, “মাননীয় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ক্ষমতায় আসার পর থেকে তিনি খেলাধুলার প্রতি মনোযোগ দিয়েছেন। তাঁর স্বপ্ন ছিল ভারত অলিম্পিকে যাবে এবং দেশে পদক নিয়ে আসবে। তাঁর নেতৃত্বে ক্রীড়া মন্ত্রকের বাজেটও বৃদ্ধি করা হয়েছে।” আরও বলেন, “তিনি ক্রীড়াক্ষেত্রে ভারতকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার এক প্রচেষ্টা চালিয়ে গিয়েছেন। আমি প্রধানমন্ত্রীকে তাঁর ৭৫ তম জন্মদিনে অভিনন্দন জানাই এবং তাঁর সুস্বাস্থ্যের কামনা করি।”
২০২৪ সালের প্যারিস অলিম্পিকে দেশকে একজোড়া পদক জয়ী এনে দিয়েছিলেন মনু ভাকের। তিনি প্রধানমন্ত্রী মোদীর সঙ্গে দেখা করার অভিজ্ঞতাগুলি তুলে ধরে বলেন, “প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে আমার একাধিকবার বিশেষ কথোপকথন হয়েছে। আমাদের সমস্ত সাক্ষাৎ আমার জন্য বিশেষ। ২০২৪ সালের প্যারিস অলিম্পিকে আমার পদক জয়ের পর তিনি আমাকে জিজ্ঞাসা করেছিলেন যে টোকিও অলিম্পিকের কঠিন সময়গুলো আমি কীভাবে কাটিয়ে উঠেছি।”
এছাড়া সানিয়া মির্জা জানিয়েছেন কেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এখনও তার কাছে অনুপ্রেরণা। তাঁর কথায়, “আমাদের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদিকে জন্মদিনের অনেক অনেক শুভেচ্ছা জানাই। তাঁর সঙ্গে আমার যে ক’বার সাক্ষাৎ করার সৌভাগ্য হয়েছে, প্রতিটিই অনুপ্রেরণামূলক। তিনি এমন একজন ব্যক্তি যিনি প্রতিটি ব্যক্তির জীবনে ব্যক্তিগত আগ্রহ দেখিয়েছেন। দেশের ক্রীড়াবিদ হিসেবে তিনি সর্বদা সমর্থন এবং সাহায্যের প্রস্তাব দিয়েছেন।”
দেশের কিংবদন্তি স্পিনার অনিল কুম্বলে আবার তুলে ধরছেন গত ২০২৩ বিশ্বকাপ ফাইনালের কথা। যখন হেরে যাওয়া ভারতীয় দলকে সাজঘরে গিয়ে সান্ত্বনা দিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী মোদি। কুম্বলে বলেন, “যখন আপনি জেতেন, কেবল তখনই নয়। যখন আপনি হেরে যান তখনও প্রধানমন্ত্রী। কাঁধে হাত রাখেন। এর থেকে বড় উৎসাহ আর হয় না।” এর পরই যোগ করেন, “যখন ভারত ২০২৩ সালে অস্ট্রেলিয়ার কাছে বিশ্বকাপ ফাইনালে হেরে যায়, তখন তিনি তৎক্ষণাৎ ড্রেসিংরুমে গিয়ে খেলোয়াড়দের কাঁধে হাত রেখেছিলেন। আমরা দেখেছি এরপর ভারতীয় দল ঠিক কী করেছিল। ২০২৪ সালে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ জিতেছিল। আমার মনে হয়, এই মুহূর্তগুলি ক্রীড়াবিদদের উপর স্থায়ী ছাপ ফেলে।”
