হিন্ডেনবার্গ রিসার্চের অভিযোগে সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ বোর্ড অব ইন্ডিয়া (সেবি) কর্তৃক দেওয়া ক্লিনচিটকে স্বাগত জানিয়ে আদানি গ্রুপের চেয়ারম্যান গৌতম আদানি বৃহস্পতিবার বলেছেন, “সত্যই জয়ী হয়”।
গৌতম আদানি এক্স-এ পোস্ট করে লিখেছেন, “একটি দীর্ঘ ও বিস্তৃত তদন্তের পর সেবি পুনরায় নিশ্চিত করেছে যে হিন্ডেনবার্গের অভিযোগগুলি ভিত্তিহীন ছিল। স্বচ্ছতা ও সততা সবসময়ই আদানি গ্রুপের মূল ভিত্তি। যে বিনিয়োগকারীরা এই উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ও ভুয়ো রিপোর্টের কারণে ক্ষতির মুখে পড়েছেন, তাদের যন্ত্রণা আমরা গভীরভাবে অনুভব করি। যারা মিথ্যা রটনা ছড়িয়েছে, তাদের জাতির কাছে ক্ষমা চাইতে হবে।”
তিনি আরও বলেন, “ভারতের প্রতিষ্ঠান, ভারতের জনগণ ও জাতি গঠনের প্রতি আমাদের অঙ্গীকার অটল। সত্যমেব জয়তে! জয় হিন্দ!”
সেবি তার দুটি আদেশে জানিয়েছে, ইনসাইডার ট্রেডিং, বাজারে কারসাজি বা পাবলিক শেয়ারহোল্ডিং-এর নিয়ম লঙ্ঘনের কোনও প্রমাণ মেলেনি। ফলে আদানি এন্টারপ্রাইজেস, আদানি পোর্টস ও আদানি পাওয়ার সহ গোষ্ঠীর বিভিন্ন কোম্পানিকে অভিযোগ থেকে মুক্তি দেওয়া হয়েছে।
উল্লেখ্য, ২০২৩ সালের জানুয়ারিতে হিন্ডেনবার্গ দাবি করেছিল, তিনটি সংস্থা আদিকর্প এন্টারপ্রাইজেস প্রাইভেট লিমিটেড, মাইলস্টোন ট্রেডলিংকস প্রাইভেট লিমিটেড ও রেভার ইনফ্রাস্ট্রাকচার প্রাইভেট লিমিটেড-এর মাধ্যমে আদানি গোষ্ঠীর বিভিন্ন কোম্পানির মধ্যে টাকা স্থানান্তর করা হয়েছে। কিন্তু সেবি স্পষ্ট করেছে, এই লেনদেনগুলোকে ‘রিলেটেড পার্টি’ হিসাবে ধরা যায় না এবং কোনও প্রকাশ্য নিয়ম লঙ্ঘন হয়নি।
প্রসঙ্গত, শুরু থেকেই আদানি গ্রুপ এই অভিযোগগুলোকে “ভিত্তিহীন” বলে দাবি করেছিল। হিন্ডেনবার্গ রিসার্চের প্রতিষ্ঠাতা নেট অ্যান্ডারসন এ বছরের জানুয়ারিতে আদানি গ্রুপের সংস্থাগুলিকে ‘ডিসব্যান্ড’ (ভেঙে দেওয়া) করার কথা ঘোষণা করেছিলেন।