বাংলাদেশে ক্রমেই সুর চড়াচ্ছে জামায়াতে ইসলামি। আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে পিআর পদ্ধতি মানা সহ কয়েক দফা দাবিতে তিন দিনের বিক্ষোভ আন্দোলনের কর্মসূচি ঘোষণা করেছে জামায়াতে ইসলামি। সঙ্গে রয়েছে আরও সাতটি রাজনৈতিক দল। এই সাত দলের মধ্যে রয়েছে – ইসলামি আন্দোলন, বাংলাদেশ খেলাফত মজলিস, খেলাফত মজলিস, নেজামে ইসলাম পার্টি, বাংলাদেশ খেলাফত আন্দোলন ও জাতীয় গণতান্ত্রিক পার্টি (জাগপা)।
কী কী দাবিতে এই বিক্ষোভ কর্মসূচি?
জামায়াতের নেতৃত্ব জানিয়েছে যে জুলাই সনদ পুরোপুরি বাস্তবায়িত করতে হবে এবং তার ভিত্তিতেই জাতীয় নির্বাচন করতে হবে।পাশাপাশি জাতীয় সংসদের উভয় কক্ষে সংখ্যানুপাতিক (পিআর) পদ্ধতি চালু করতে হবে।পাশাপাশি ফ্যাসিস্ট হাসিনা সরকারের সব জুলুম, গণহত্যা ও দুর্নীতির বিচার প্রকাশ্যেই করতে হবে এবং জাতীয় পার্টি ও ১৪ দলের কাজকর্ম নিষিদ্ধ করতে হবে। বৃহস্পতিবার প্রথম দিন রাজধানীতে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ কর্মসূচি শুরু করেছে জামাত সহ বিভিন্ন দল।
শেখ হাসিনার আমলে নিষিদ্ধ থাকা জামায়াতে ইসলামি এই দল যে মহম্মদ ইউনূসের আমলে রাজনীতির ময়দানে অনেকটাই খোলা মাঠ পাচ্ছে তা বোঝা গিয়েছিল গত জুলাইয়ে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে প্রথমবারের মতো তাদের বিশাল সমাবেশে।এই সমাবেশে বিএনপিকে আমন্ত্রণ জানানো হয়নি। আমন্ত্রণ পায়নি এবি পার্টি ও বাম রাজনৈতিক দলগুলোও।যত দিন যাচ্ছে বিএনপিকে চিন্তায় ফেলে ক্রমেই বাংলাদেশের রাজনীতিতে প্রভাব বাড়াচ্ছে জামায়াতে ইসলামি।
সদ্য ডাকসু’র ভোটে সবাইকে অবাক করে দিয়ে তাদের ছাত্র সংগঠন ইসলামি ছাত্র শিবির যে বিপুল জয় হাসিল করেছে তা রীতিমতো বিস্ময়কর। বাংলাদেশের জন্মের ৫৪ বছরে এই প্রথম স্বাধীনতার বিরোধিতাকারী জামায়াতে ইসলামির ছাত্র সংগঠন ডাকসু দখল করল। তবে শুধু ডাকসু নয় ৩৩ বছর পর গত বৃহস্পতিবার জাহাঙ্গীর নগর বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ নির্বাচনে কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ দখল করেছে জামায়াতে ইসলামির ছাত্র সংগঠন।
অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান হিসেবে মহম্মদ ইউনুস আগামী বছর ফেব্রুয়ারিতে জাতীয় সংসদ নির্বাচন করার ঘোষণা করলেও জামায়াতে ইসলামি, এনসিপি প্রয়োজনীয় সংস্কার এবং জুলাই সনদের ভিত্তিতে ভোট করার দাবি তুলেছে। তাদের দাবি তাড়াহুড়ো করে নির্বাচন করা যাবে না। ফলে সরকার পক্ষ ও বিএনপি সঠিক সময়ে ভোটের দাবি তুললেও জামাত ও সমভাবনার দলগুলোর চাপে কতটা তা করা সম্ভব হবে তা নিয়েই প্রশ্ন উঠেছে।
Leave a comment
Leave a comment
