বড় ধরনের পারস্পরিক প্রতিরক্ষা চুক্তি স্বাক্ষর করেছে পাকিস্তান ও সৌদি আরব। বুধবার রিয়াধে এই চুক্তি স্বাক্ষরের পর দুই দেশই ঘোষণা করেছে যে কোনও একটি দেশের ওপর আক্রমণ হলে তা দুই দেশের ওপরই আক্রমণ হিসেবে মানা হবে এবং যৌথভাবে প্রতিক্রিয়া জানানো হবে।বুধবার সৌদি আরবে সে দেশের যুবরাজ মহম্মদ বিন সলমনের সঙ্গে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফের সাক্ষাতের পর দুই দেশের এই ‘কৌশলগত এবং পারস্পরিক প্রতিরক্ষা চুক্তি’- স্বাক্ষরিত হয়।
অনেকে একে খুব ছোট আকারে ‘ন্যাটো’র ফটো কপি বলেই মনে করছে।যেমন ন্যাটো হল একটি সামরিক ও রাজনৈতিক জোট যার মূল উদ্দেশ্য হলো সদস্য দেশগুলোর মধ্যে পারস্পরিক নিরাপত্তা ও স্বাধীনতা নিশ্চিত করা।এখন এর সদস্য দেশের সংখ্যা ৩২। এমন পরিস্থিতিতে গোটা বিষয়টিই ঘনিষ্ঠভাবে পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে বলে জানিয়ে দিয়েছে দিল্লি। বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়াল বৃহস্পতিবার এক বিবৃতিতে জানিয়েছেন, “আমরা আমাদের জাতীয় নিরাপত্তা, আঞ্চলিক ও বিশ্বের স্থিতিশীলতার উপর এই চুক্তির প্রভাব খতিয়ে দেখব। ভারত সরকার জাতীয় স্বার্থ রক্ষা ও সর্বক্ষেত্রে সমগ্র জাতীয় নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।”
তবে আগে থেকেই এই চুক্তি ও তার অগ্রগতির বিষয়টি ভারতের নজরে ছিল তা স্বীকার করেছে দিল্লি। দোহায় একটি গুরুত্বপূর্ণ সম্মেলনে পাকিস্তানসহ ৪০টি ইসলামিক দেশ অংশ নেয়। ওই সম্মেলনে ইসরায়েল কাতারে হামাস নেতাদের উপর হামলার জেরে ন্যাটোর মতো একটি জোট গঠনের জন্য চাপ দেওয়া হয়। মনে রাখা দরকার পাকিস্তান একমাত্র ইসলামিক দেশ যার পারমাণবিক অস্ত্র রয়েছে।
সৌদি প্রেস এজেন্সির প্রকাশিত এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, “এই চুক্তির লক্ষ্য হল দুই দেশের মধ্যে প্রতিরক্ষা সহযোগিতার দিকগুলো ভাল করা এবং যে কোনো আগ্রাসনের বিরুদ্ধে যৌথ প্রতিরোধ করা।” এই চুক্তির নাম ‘স্ট্র্যাটেজিক মিউচুয়াল ডিফেন্স এগ্রিমেন্ট’।
Leave a comment
Leave a comment
