জেলার পর এবার ‘আমাদের পাড়া আমাদের সমাধান’ শিবির পরিদর্শনে মন্ত্রী শশী পাঁজা। সম্প্রতি কলকাতা পুরসভার ২৬ নম্বর ওয়ার্ডের কেশব একাডেমিতে হাজির ছিলেন রাজ্যের নারী ও শিশুকল্যাণ দফতরের ক্যাবিনেট মন্ত্রী। সেদিনের শিবিরে মাত্র ৫ মিনিটের মধ্যে এক মহিলার দীর্ঘদিনের সমস্যার যাবতীয় সমাধান করে দেওয়া হয়। আর সেটি সম্ভব হয়েছে প্রশাসনের সঙ্গে পুর নাগরিকদের সরাসরি সেতুবন্ধনের জেরেই। ভুক্তভোগী পুরবাসী অকুণ্ঠ প্রশংসা করেছেন রাজ্যের এই নয়া জনহিতকর প্রকল্পটির।
গত ২ অগস্ট থেকে রাজ্য জুড়ে শুরু হয়েছে ‘আমাদের পাড়া, আমাজের সমাধান’ কর্মসূচি। বুথ স্তরে সাধারণ মানুষের ন্যূনতম সমস্যার দ্রুত সমাধানের লক্ষ্যে রাজ্যের নতুন প্রকল্প। এর মূল লক্ষ্য, পশ্চিমবঙ্গের ৮০ হাজার বুথে সাধারণ মানুষের ছোটখাটো সমস্যার দ্রুত সমাধান। সেই জন্যে রাজ্য সরকার বুথপিছু ১০ লক্ষ টাকা করে বরাদ্দও করেছে। মোট ব্যয় ধরা হয়েছে প্রায় ৮ হাজার কোটি টাকা।
মানুষের দৈনন্দিন জীবনযাত্রার সঙ্গে যুক্ত এবং তুলনামূলক কম সময়ে ও কম খরচে শেষ করা যায় এধরণের ১৫ রকমের কাজ, এই কর্মসূচির আওতায় আনা হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে, নিকাশি নালা নির্মাণ বা সংস্কার, পানীয় জলের জন্য টিউবওয়েল বসানো, পাইপলাইনের মাধ্যমে জল সরবরাহ, এলাকায় জলের ট্যাঙ্ক বসানো, রাস্তায় রাস্তায় আলোর ব্যবস্থা করা, কমিউনিটি টয়লেট তৈরি, অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রের ছাদ মেরামত, খেলার মাঠ নির্মাণ প্রভৃতি। স্থানীয় মানুষের মতামতের ভিত্তিতেই সংশ্লিষ্ট এলাকার কাজগুলির জন্যই অর্থ বরাদ্দ করছে নবান্ন।
মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে শুরু হওয়া ‘আমাদের পাড়া আমাদের সমাধান’ কর্মসূচি ইতিমধ্যেই ২৩,০০০-এরও বেশি শিবির করেছে। এর মাধ্যমে ১.৭ কোটি মানুষের কাছে পৌঁছেছে আমাদের পাড়া আমাদের সমাধান। আগামী নভেম্বর মাস পর্যন্ত এই কর্মসূচি চলার কথা। ইতিমধ্যেই চিহ্নিত সমস্যার সমাধানের জন্য টাকা ছাড়া শুরু করে দিয়েছে নবান্ন।
বছর ঘুরলেই এরাজ্যে বিধানসভা ভোট। রাজ্য প্রশাসন জনহিতকর কর্মসূচিটি সম্পূর্ণ করতেও বিশেষ আগ্রহী। প্রশাসনের পাশাপাশি রাজ্যের শাসক দলের নেতা ও কর্মীরাও মুখ্যমন্ত্রীর কর্মসূচিকে ঘিরে দারুণ সক্রিয়। যাতে ভোটের আগে এই দৃষ্টান্ত স্থাপিত হয় যে, পাড়ায় পৌঁছে সরকারই এখন মানুষের সমস্যার কথা শুনছে এবং তার সমাধান করছে।
