পাকিস্তান আছে পাকিস্তানেই। ভারতের ‘অপারেশন সিন্দুর’-এ পাকিস্তান ও পাক অধিকৃত কাশ্মীরের (পিওকে) ৯টি বড় জঙ্গি ঘাঁটি ধ্বংস হওয়ার পরও সন্ত্রাসের পথ ছেড়ে বেরিয়ে আসতে পারছে না সেদেশের জঙ্গিরা। গোয়েন্দা সূত্রে খবর, ভারতের ‘অপারেশন সিন্দুর’-এর বড় ধাক্কায় ও ফের হামলার ভয়ে আফগানিস্তানের সীমান্তের কাছে নতুন ঘাঁটি খোঁজার চেষ্টা করছে পাক জঙ্গিরা। তাতে মদত দিচ্ছে পাক সেনা।
‘অপারেশন সিন্দুর’-এ ৯টি প্রধান টার্গেট ছিল ভারতীয় সেনার। ৭ মে ভারতীয় বিমানবাহিনী ও সেনা স্ট্যান্ড-অফ প্রিসিশন মিসাইল ব্যবহার করে যে ঘাঁটিগুলিতে হামলা চালায় তার মধ্যে ছিল পঞ্জাবের বাহাওয়ালপুরের মারকাজ সুবহানাল্লাহ, মারকাজ তৈবা (মুরিদকে, পাঞ্জাব), সারজাল, তেহরা কালান (নারোয়াল), মেহমুনা জোয়া (সিয়ালকোট)। এছাড়াও ছিল মারকাজ আহলে হাদিস (বারনালা, পিওকে), মারকাজ আব্বাস (কোটলি, পিওকে), মাস্কার রাহিল শহিদ (কোটলি, পিওকে), শাওয়াই নাল্লা (মুজাফফরাবাদ, পিওকে) ও সাইয়েদনা বিলাল মারকাজ (মুজাফফরাবাদ, পিওকে) ।
এই সব ৯টি বড় জঙ্গি ঘাঁটি ধ্বংস হওয়ার পর, জৈশ-ই-মহম্মদ ও হিজবুল মুজাহিদিন (এইচএম)-এর মতো সংগঠন নতুন আস্তানা গড়তে আরও পশ্চিমে সরে যাচ্ছে। গোয়েন্দারা জানাচ্ছেন যে, এই দুই সংগঠন পাকিস্তানের খাইবার পাখতুনখোয়া প্রদেশের দুর্গম পাহাড়ি এলাকায় নতুন ঘাঁটি স্থাপন করছে, যা আফগানিস্তানের সীমান্তের কাছে। আর ভারতের মতো আধুনিক সামরিক অস্ত্রে সজ্জিত বাহিনীর নজর এড়াতে আফগান সীমান্তের ফাঁকফোকরে প্রাকৃতিক দুর্গমতাকে আশ্রয় করে আস্তানা গড়ছে। এখানকার অনেক গুহা ও আস্তানাই ১৯৮০-র দশকে সোভিয়েত-বিরোধী আফগান যুদ্ধের সময় তৈরি করা হয়েছিল।
সদ্যই ভারতীয় গোয়েন্দাদের নেটওয়ার্কে ধরা পড়েছে জঙ্গি চক্রের কার্যক্রম। ১৪ সেপ্টেম্বর, জৈশ মানসেহরা জেলার গারহি হাবিবুল্লাহ এলাকায় একটি ধর্মীয় সমাবেশ করা হয়। বক্তৃতায় মাসুদ ইলিয়াস কাশ্মিরি ওসামা বিন লাদেনের প্রশংসা করে খাইবার পাখতুনখোয়াকে ‘মুজাহিদিনদের দুর্গ’ বলে ঘোষণা করে। দাবি করে যে পাকিস্তান সেনা নিয়মিত জৈশ যোদ্ধাদের জানাজায় উপস্থিত থাকে। গোয়েন্দা সূত্রে এর সত্যতাও মেলে। জানা যাচ্ছে জৈশ বাহিনী ২৫ সেপ্টেম্বর পেশোয়ারে আরও বড় সমাবেশের প্রস্তুতি নিচ্ছে। আন্তর্জাতিক নজরদারি এড়াতে নিজেদের নতুন নাম রাখছে ‘আল-মুরাবিতুন’।