ফর্ম ধরে রেখেছেন হংকং ওপেন ব্যাডমিন্টনের ডাবলসে রানার্স আপ সাত্ত্বিকসাইরাজ রঙ্কিরেড্ডি এবং চিরাগ শেট্টি। চায়না মাস্টার্স সুপার ৭৫০ ব্যাডমিন্টন টুর্নামেন্টে শুক্রবার উঠলেন সেমিফাইনালে। সাত্ত্বিক -চিরাগ জুটি ২১-১৪, ২১-১৪ গেমে হারালেন চিনা জুটি রেন জিয়ং ইউ এবং জি হাওনানকে।
সাত্ত্বিক-চিরাগের জয়ের দিনেই টুর্নামেন্ট থেকে ছিটকে গেলেন পি ভি সিন্ধু। অলিম্পিক্সে ২ টি পদক জয়ী সিন্ধু কোয়ার্টার ফাইনালে হেরেছেন বিশ্ব ক্রমপর্যায়ের ১ নম্বর তারকা দক্ষিণ কোরিয়ার আন সে ইয়ং-এর কাছে। কোরিয়ান শাটলারের কাছে মাত্র ৩৮ মিনিটেই ১৪-২১, ১৩-২১ গেমে পরাজিত হয়েছেন সিন্ধু। আন সে ইয়ং প্যারিস অলিম্পিক্সে স্বর্ণ পদকজয়ী।
চিনের এই টুর্নামেন্টকে ধরলে সিন্ধু টানা আটবার হারলেন অ্যান সে-ইয়ংয়ের কাছে। ২৩ বছর বয়সী কোরিয়ান শাটলারের বিরুদ্ধে একবারও তিনি জিততে পারেননি। তবে শুক্রবার কোয়ার্টার ফাইনালের ম্যাচটি একটু প্রতিদ্বন্দ্বিতামূলক হবে এমন প্রত্যাশা ছিলই। ভারতের তারকা ব্যাডমিন্টন খেলোয়াড় কিন্তু সেই প্রত্যাশা পূরণে পুরোপুরি ব্যর্থ।
প্রথম গেমে শুরুতেই পিছিয়ে পড়েছিলেন ১-৬ ব্যবধানে। পরে একটু থিতু হয়ে ব্যবধান কমিয়ে ৫-৯ করেন। তবে শক্তিশালী কোরিয়ান শাটলার দ্রুত খেলার গতি বাড়িয়ে লিড ১১-৫ করে নেন। সিন্ধু ফিরে আসার চেষ্টা চালিয়ে ১১-১৪ তে পৌঁছেছিলেন। কিন্তু নেট শটে বার বার পয়েন্ট খুইয়ে হেরে যান ১৪-২১ ব্যবধানে।
দ্বিতীয় গেমে ৩-২ লিড নিয়ে আশা জাগালেও কোরিয়ান শাটলারের দুরন্ত ডিফেন্স এবং ক্রস-কোর্ট স্ম্যাশ ১১-৭ ব্যবধান এনে দেয়। এই পর্ব থেকে আর সেভাবে ঘুরে দাঁড়াতে পারেননি সিন্ধু। ১৩-২১ ব্যাবধানে গেম ও ম্যাচ খুইয়ে টুর্নামেন্ট থেকে বিদায় নিয়েছেন।
সিন্ধুর হারের কোনও প্রভাব কিন্তু ভারতীয় জুটির ডাবলস ম্যাচে পড়েনি। হংকং-এর টুর্নামেন্টের মতোই সাত্ত্বিক-চিরাগ জুটি মসৃণ গতিতে এগিয়ে চলেছেন। প্রথম গেমের শুরুতে চিনা জুটির বিরুদ্ধে এগিয়ে যান ৭-০ ব্যবধানে। এরপর তাঁদের ভুলেই ব্যবধান কমে দাঁড়ায় ৮-৩। দ্রুত ভুল শুধরে নিয়ে নতুন করে আক্রমণাত্মক খেলা শুরু করে ভারতীয় জুটি এবং লিড বাড়িয়ে নেয় ১৩-৭। খেলার গতি কমিয়ে ফেরার চেষ্টা চালিয়েছিলেন রেন জিয়ং ইউ এবং জি হাওনান। কিন্তু সফল হননি। ভারতীয় জুটি প্রথম গেম জিতে নেয় ২১-১৪ ব্যবধানে।
আক্রমণ-পাল্টা আক্রমণে শুরু হওয়া দ্বিতীয় গেমে ৭-৭ পয়েন্টে আকর্ষণীয় অবস্থায় পৌঁছেছিল। তবে এরপরই ভারতীয় জুটি ১১-৯ ব্যবধানে এগিয়ে যায়। নেট প্লে ও জোরালো স্ম্যাশে ব্যবধান বাড়িয়ে ১৯-১৩ তে নিয়ে আসেন সাত্ত্বিক-চিরাগ। এরপর গেম ও ম্যাচ বের করে নিতে আর অসুবিধে হয়নি সাত্ত্বিকসাইরাজ ও চিরাগের।