যে জঙ্গি হানা নিয়ে ভারতের সুস্থিতিকে নষ্ট করে দেওয়ার পরিকল্পনা করা হয়েছিল ‘অপারেশন সিন্দুর’-এ সেই সন্ত্রাসের কারবারিদেরই মাজা-কোমর ভেঙে দিয়েছে ভারতীয় সেনা। কদিন আগেই বাহাওয়ালপুরে জৈশের সদর দফতর ধ্বংস হওয়ার কথা স্বীকার করে নেয় জৈশ-ই-মহম্মদের শীর্ষ নেতা মাসুদ ইলিয়াস কাশ্মীরি। এবার লস্কর-ই-তৈবার এক জঙ্গি প্রকাশ্যে স্বীকার করল যে মুরিদকের মারকাজ তৈবা ঘাঁটি গুঁড়িয়ে গেছে ভারতীয় সেনার হানায়।
সোশাল মিডিয়ায় ভাইরাল হওয়া এক ভিডিয়োতে (যদিও সেই ভিডিয়োর সত্যতা জাজবাত২৪ বাংলা যাচাই করেনি) লস্কর কমান্ডার কাসিমকে দেখা গিয়েছে মুরিদকের ধ্বংসস্তূপে দাঁড়িয়ে কথা বলতে। কাসিম জানাচ্ছে, “আমি মারকাজ তৈবার ধ্বংসস্তূপে দাঁড়িয়ে আছি। ভারতীয় হামলায় এই জায়গাটি গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়েছিল। এখন এখানে নতুন করে নির্মাণ কাজ চলছে। আল্লাহর রহমতে এই মসজিদ আগের চেয়েও বড় করে তৈরি হবে।”
লস্করের মুরিদকে ঘাঁটি ছাড়াও ভারতীয় সেনা ৭ মে রাতে যৌথ অভিযানে বাহাওয়ালপুরে জৈশ-ই-মহম্মদের ঘাঁটি, সিয়ালকোটে হিজবুল মুজাহিদিনের ঘাঁটি এবং বারনালা ও মুজফফরাবাদে লস্করের একাধিক শিবির ধ্বংস করে দেয়। এর আগে এইরকমই এক ভিডিয়ো বার্তায় মাসুদ ইলিয়াস কাশ্মীরি স্বীকার করে নেয়, “সন্ত্রাসবাদকে আঁকড়ে ধরে আমরা দিল্লি, কাবুল আর কান্দাহার পর্যন্ত লড়েছি পাকিস্তানের সীমানা রক্ষার জন্য। ৭ মে ভারতীয় সেনা বাহাওয়ালপুরে মৌলানা মাসুদ আজহারের পরিবারকে ছিন্নভিন্ন করে দিয়েছে।”
এদিকে সদ্য সামনে আসা ভিডিয়োয় কাসিম স্বীকার করেছে যে ধ্বংস হওয়া ওই মারকাজ মসজিদেই বহু জঙ্গি প্রশিক্ষণ নিয়েছিল। যদিও পাকিস্তান সরকার দাবি করেছিল যে ধ্বংস হওয়া ভবনটি বহুদিন ধরেই লস্করের কাজে লাগানোই হচ্ছিল না।