রাঁচির ইসলামনগরের টাবারাক লজ থেকে গ্রেফতার হলেন আশহার দানিশ, যিনি বাইরে থেকে ‘এসএসসি পরীক্ষার প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন’, কিন্তু ভিতরে বসে তৈরি করছিলেন বোমা। পাশাপাশি চালাচ্ছিলেন আইসিসের সদস্য সংগ্রহের কাজও। দিল্লি পুলিশ ও ঝাড়খণ্ডের সন্ত্রাসদমন শাখার যৌথ অভিযানে তাকে গ্রেফতার করা হয়।
সূত্রের খবর, সম্প্রতি গ্রেফতার হওয়া সন্ত্রাসী আফতাব কুরেশিকে জেরা করে উঠে আসে দানিশের নাম। এরপরেই লজে হানা দিয়ে পুলিশ উদ্ধার করে গানপাউডার, বোমা, প্রচুর পরিমাণে পটাসিয়াম নাইট্রেট এবং দেশি অস্ত্র। এসব বিস্ফোরক রাঁচির সুবর্ণরেখা নদীতে পরীক্ষা করা হত বলে জানা গেছে।
পুলিশ জানিয়েছে, পটাসিয়াম নাইট্রেট মূলত সার তৈরিতে কাজে লাগলেও গানপাউডার তৈরির প্রধান উপাদান হিসেবেও ব্যবহৃত হয়। এতেই স্পষ্ট যে দানিশ আইসিস জঙ্গিদের জন্য সক্রিয়ভাবে বোমা তৈরির কাজে যুক্ত ছিলেন।
পুলিশ সূত্রে খবর, দানিশকে পাকিস্তানি এক হ্যান্ডলার সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে ধর্মীয়ভাবে প্রভাবিত ও নিয়োগ করে। পরবর্তী সময়ে তিনি ‘সিগন্যাল’ অ্যাপে একাধিক এনক্রিপ্টেড গ্রুপ তৈরি করেন, যার নামগুলি সাধারণ শোনালেও (‘ইন্টার্ন ইন্টারভিউ’, ‘বিজনেস আইডিয়া’ ইত্যাদি), ভেতরে চলত সন্ত্রাসী কার্যকলাপ ও ফান্ড সংগ্রহ। অনলাইনে রাসায়নিক ও ছুরি কেনা হত এই টাকায়।
দানিশ ছাড়াও এই সেলের আরও তিন সদস্যকে শনাক্ত করেছে পুলিশ। সুফিয়ান খান, মহম্মদ হুজাইফ ইয়ামান ও কামরান কুরেশি। জানা গেছে, এরা ধর্মীয় স্থানে হামলার পরিকল্পনা করছিল।
পুলিশ সূত্রের দাবি, দানিশ ও তাঁর সহযোগীদের গ্রেফতারের ফলে বিজেপির শীর্ষ নেতৃত্বকে লক্ষ করে পরিকল্পিত এক সম্ভাব্য জঙ্গি হামলা রুখে দেওয়া সম্ভব হয়েছে।